পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ
চতুর্থ অধ্যায়:পরিবেশ ও সম্পদ
সম্পূর্ণ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর সাজেশন
পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ পরীক্ষার জন্য চতুর্থ অধ্যায়:পরিবেশ ও সম্পদ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হল।
Class 5 poribesh chapter 4 important questions answers
নানা জায়গার প্রকৃতির নানা সম্পদ
১) পাহাড়ি অঞ্চলের লাল মাটিতে ভালো চাষ হয় না কেন?
উত্তর:পাহাড়ি অঞ্চলে জমির ঢাল খুব বেশি। তাই জল দাঁড়াতে পারে না। এছাড়া লালমাটি বেশি জল ধরে রাখতে পারে না। তাই এখানে ভালো চাষ হয় না।
২) কোন এলাকার জমিতে খুব ভালো ধান চাষ হয়?
উত্তর:যেসব এলাকার জমিতে খুব ভালোভাবে জল দাঁড়ায় সেখানে ধান চাষ খুব ভালো হয়।
৩) লালমাটি অঞ্চলের পাথর কি কাজে লাগে?
উত্তর:পাকাবাড়ি তৈরির কাজে লাগে।
৪) কোন এলাকার জমিতে খুব ভালো চা চাষ হয়?
উত্তর:যে এলাকার জমিতে ভালো জল দাঁড়ায় না বিশেষ করে পাহাড়ের ঢালু জমিতে চা চাষ খুব ভালো হয়।
৫) তাপবিদ্যুৎ তৈরি করতে কি লাগে?
উত্তর:কয়লা লাগে।
৬) ইট পোড়ানোর জন্য কিসের প্রয়োজন? উত্তর:কয়লার প্রয়োজন।
৭) বিভিন্নপ্রকার প্রাকৃতিক সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তর:
• কৃষিজ সম্পদ- ধান, চা প্রভৃতি।
• বনজ সম্পদ- মধু, মোম, কাঠ প্রভৃতি।
. খনিজ সম্পদ- কয়লা, খনিজ তেল, আকরিক লোহা প্রভৃতি।
প্রকৃতি ও মানুষ মিলে তৈরি করে সম্পদ
১) মানুষের প্রধান দুটি নিজস্ব সম্পদ কি কি?
উত্তর:স্বাস্থ্য এবং বুদ্ধি।
২) স্বাস্থ্যকে সম্পদ বলা হয় কেন?
উত্তর:স্বাস্থ্য ভালো থাকলে আমরা ভালোভাবে পরিশ্রম করতে পারি। এছাড়া বুদ্ধি মানুষের আরও একটি সম্পদ। এই স্বাস্থ্য ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ আরও অনেক নতুন সম্পদ তৈরি করতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকে সম্পদ বলা হয়।
৩) ইট কি দিয়ে তৈরি হয়?
উত্তর:মাটি এবং কয়লা দিয়ে।
৪) আগেকার দিনে মানুষ সবকিছু কাঁচা খেত কেন?
উত্তর:আগেকার দিনে মানুষ সবকিছু কাঁচা খেত কারণ তারা আগুন জ্বালাতে পারত না এবং আগুনের ব্যবহার জানত না।
৫) উনুন কত রকমের হয়?
উত্তর:আগেকার দিনে মানুষ মাটিতে গর্ত করে উনুন তৈরি করত। এরপর তৈরি করেছিল আঁচের উনুন। বর্তমানে গ্যাসের ও ইলেকট্রিকের উনুনও আছে।
৬) মানুষ মাটির পাত্র কীভাবে শক্ত করত?
উত্তর:আগুনে পুড়িয়ে শক্ত করত।
৭) প্রকৃতি ও মানুষ মিলে কীভাবে সম্পদ তৈরি করে?
উত্তর:মাটি, জল, কয়লা, আগুন, কাঠ প্রভৃতি প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে মানুষ আরও সম্পদ তৈরি করেছে। যেমন-
•মাটি দিয়ে কাঁচা ইট তৈরি করে কয়লার আগুনে পোড়ালে তা শক্ত হয়। এই ইট দিয়ে তৈরি হয় পাকা বাড়ি।
• মানুষ মাটি দিয়ে বাসনপত্র তৈরি করে তা আগুনে পুড়িয়ে ব্যবহার করতে শেখে।
• প্রকৃতির কাঠকে ব্যবহার করেও মানুষ তৈরি করেছে বিভিন্ন আসবাবপত্র।
লেখা নেই কাগজে আছে শুধু মগজে
১) ওষধি গাছ কি?
উত্তর:যে সমস্ত গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে রোগ সারানো হয়, তাদের ওষধি গাছ বলে। যেমন- কালমেঘ, বাসক, ঘৃতকুমারী, তুলসী প্রভৃতি।
২) আগেকার দিনে হাত পা কেটে গেলে কি ওষুধ লাগানো হত?
উত্তর:বিভিন্ন ওষধি গাছের পাতা ছেঁচে তার রস লাগানো হত।
৩) কয়েকটি পারিবারিক সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তর:বড়ি বানানো, নকশাকাটা কাঁথা বানানো, ঝুড়ি তৈরি, মাটির প্রতিমা তৈরি প্রভৃতি।
জ্ঞান আর উৎসব
১) মানুষের কতগুলি জ্ঞান এর উল্লেখ করো যা উৎসব করতে কাজে লাগে?
উত্তর:নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয় প্রভৃতি।
২) সবাই মিলে উৎসব করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর:উৎসব আমাদের সমাজের একটি অন্যতম অঙ্গ যা সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সফলতা পায়। কিন্তু আমরা সবাই সব কিছুতে পারদর্শী নই। কেউ ভালো নাচতে পারে, কেউ ভালো গান করতে পারে, আবার কেউ ভালো হারমোনিয়াম, গিটার, তবলা প্রভৃতি বাজাতে পারে। তাই আমরা সকলে মিলে যদি উৎসব করি তাহলে একদিকে যেমন সকলের প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে তেমনই অন্যদিকে যারা কিছু শেখেনি তাদের মধ্যেও নতুনভাবে শেখার আগ্রহ গড়ে উঠবে।
স্মরণীয় যারা
১) দেশের মানুষকে হাতে কলমে শিক্ষার কথা কে বলেছিলেন?
উত্তর:স্বামী বিবেকানন্দ।
২) স্বামী বিবেকানন্দ দেশের মানুষকে কি কি বলতেন?
উত্তর:স্বামী বিবেকানন্দ দেশের মানুষকে হাতেকলমে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলতেন। এছাড়া বইতে মুখ ডুবিয়ে বসে না থেকে ফুটবল খেলতে বলেছিলেন যাতে শরীর ও মন ভালো থাকে।
৩) স্বামী বিবেকানন্দ কার শিষ্য ছিলেন?
উত্তর:শ্রীরামকৃষ্ণদেবের শিষ্য ছিলেন।
৪) ভগিনী নিবেদিতা কার শিষ্য ছিলেন?
উত্তর:স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্য ছিলেন।
৫) ভগিনী নিবেদিতা কি মহান কাজ করেছিলেন?
উত্তর:
ভগিনী নিবেদিতা ভারতে এসে স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তিনি নিজের জীবনের পরোয়া না করে প্লেগ রোগীদের জন্য সেবা করেছিলেন।
৬) বেগম রোকেয়া দেশের জন্য কি করেছিলেন?
উত্তর:বেগম রোকেয়া মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য চেষ্টা করেছিলেন। এছাড়া তিনি ধর্মের নামে নারীর প্রতি অবিচারের প্রতিবাদ করেন।
৭) কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম লেখো।
উত্তর:মহত্মা গান্ধী, সুভাষচন্দ্র বসু, সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম বসু, ভগত সিং, বিনয় বাদল দীনেশ প্রমুখ।
৮) অস্ত্র হাতে স্বাধীনতা সংগ্রামে লড়েছেন এমন দুজন মহিলা বিপ্লবীর নাম লেখো।
উত্তর:প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত।
৯) ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আজাদ হিন্দ ফৌজ কে বানিয়েছিলেন?
উত্তর:নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
১০) কাদের জন্মদিনে আমরা জাতীয় পতাকা তুলে শ্রদ্ধা জানাই?
উত্তর:নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মহত্মা গান্ধী প্রমুখ।
১১) খুব অল্প বয়সে দেশের জন্য লড়তে গিয়েছিলেন এমন দুজনের নাম লেখো।
উত্তর:ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকী।
১২) সুশীল সেন কে ছিলেন?
উত্তর:সুশীল সেন ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক ছাত্র। ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য তাঁকে বেত মারা হয়।
১৩) গান্ধীবুড়ি নামে পরিচিত ছিলেন কে?
উত্তর:মাতঙ্গিনী হাজরা।
১৪) মাস্টারদা নামে পরিচিত ছিলেন কে?
উত্তর:সূর্য সেন।
১৫) মনীষী কাদের বলা হয়?
উত্তর:যে সব মহান ব্যক্তিরা দেশের মানুষদের ভালোর জন্য ভেবেছেন, ভালোর জন্য কাজ করেছেন, দুঃখ দারিদ্র্য মোচনের চেষ্টা করেছেন, তাদের মনীষী বলা হয়।
১৬) মনীষীদের আমরা কীভাবে শ্রদ্ধা জানাই?
উত্তর:মনীষীদের জন্মদিন ও মৃত্যুদিনে আমরা তাদের স্মরণ করি। তাঁদের কাজ ও ভাবনা অনুসরণ করে আমরা তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই।
১৭) কয়েকজন মনীষীর নাম লেখো।
উত্তর:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর প্রমুখ।
১৮) কয়েকজন বিজ্ঞানীর নাম লেখো। উত্তর:জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মেঘনাদ সাহা প্রমুখ।
১৯) কয়েকজন বিখ্যাত লেখকের নাম লেখো। উত্তর:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সত্যজিৎ রায় প্রমুখ।
২০) সতীদাহ প্রথা নিবারণের জন্য লড়াই করেছিলেন কে?
উত্তর:রামমোহন রায়।
২১) ভারতের প্রথম মহিলা শহীদ কে?
উত্তর:প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।
২২) ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ কে ছিলেন? উত্তর:রামমোহন রায়।
২৩) রামমোহন রায়কে ভারত পথিক উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তর:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২৪) স্মরণীয় কেন?
উত্তর:
রামমোহন- উনিশ শতকের সমাজ সংস্কার আন্দোলনের একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন রামমোহন রায়। দেশের মানুষকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি নারী শিক্ষারও ব্যবস্থা করেন। এছাড়া রামমোহন রায়ের আন্দোলনের প্রভাবেই ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেন।
বিদ্যাসাগর- মেয়েদের শিক্ষার জন্য বিদ্যাসাগর ৩৫ টি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তিনি শিশুদের জন্য বর্ণপরিচয়, বোধোদয়, কথামালা প্রভৃতি বই লেখেন। এছাড়া বিদ্যাসাগরের আন্দোলনের ফলেই সরকার ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে বিধবা বিবাহ আইন পাশ করে এবং বহুবিবাহ রদ করে।
বিবেকানন্দ- স্বামী বিবেকানন্দ মানুষকে হাতেকলমে শিক্ষার কথা বলতেন। তিনি সর্বদা বইতে মুখ ডুবিয়ে বসে না থেকে শরীর ও মন ভালো রাখার জন্য ফুটবল খেলার কথা বলেছিলেন। তিনি ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরে বিশ্বধর্ম সন্মেলনে বক্তৃতা দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। জনসেবার জন্য রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। বর্তমান ভারত, রাজযোগ প্রভৃতি গ্রন্থও রচনা করেন।
ভগিনী নিবেদিতা- ভগিনী নিবেদিতা বিদেশিনী হয়েও স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতায় প্রভাবিত
হয়ে ভারতে চলে আসেন। এখানে এসে তিনি বিবেকানন্দের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। নিবেদিতা নিজেকে ভারত মায়ের সেবায় নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি নিজের জীবনের পরোয়া না করে প্লেগ রোগীদের সেবা করেছিলেন। পরবর্তীকালে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেও নিজেকে যুক্ত করেন।
গান্ধিজি- গান্ধিজি দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের অধিকার রক্ষার জন্য সেখানকার সরকারের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেন। এছাড়া ভারতবর্ষেও সাধারণ মানুষকে একজোট করে তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তিনি আইন অমান্য আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রভৃতিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। 'করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে' মন্ত্রে ভারতবাসীকে তিনি দীক্ষিত করেছিলেন।
নেতাজি- নেতাজি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হয়েও ব্রিটিশদের সেবা করবেন না বলে সরকারি চাকরি প্রত্যাখ্যান করে দেশ সেবার কাজে যোগ দেন। ফরওয়ার্ড ব্লক নামে একটি দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এছাড়া তিনি আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠা করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি 'দিল্লি চলো' ডাক দেন এবং ভারতবাসীদের বলেন 'তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো'।
সূর্য সেন- ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন নেতা ছিলেন সূর্য সেন। তিনি 'মাস্টারদা' নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করেছিল। এর কিছুদিন পর ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে তাঁদের লড়াই হয় জালালাবাদ পাহাড়ে। সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পরে তিনি ধরা পড়েন এবং তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার- প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার মাস্টারদা সূর্য সেনের দলে যোগ দেন। তাঁর
নেতৃত্বে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবীরা পাহাড়তলি ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করে। তাঁর নেতৃত্বেই একটি দল ক্লাবে প্রবেশ করে ব্রিটিশদের উপর আক্রমণ করে। ইংরেজদের হাতে ধরা না
দেওয়ার জন্য প্রীতিলতা আত্মহত্যা করেছিলেন।
মাতঙ্গিনী হাজরা- মহত্মা গান্ধির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মাতঙ্গিনী হাজরা আইন অমান্য আন্দোলনে যোগদান করেছিলেন। এছাড়া ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ভারত ছাড়ো আন্দোলনেও তিনি অংশ নেন। মেদিনীপুরের তমলুকে এক আন্দোলনে তিনি তমলুক থানা আক্রমণ করতে এগিয়ে যান। থানার কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশ গুলি চালায়। মাতঙ্গিনী হাজরা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যান। গান্ধিজির আদর্শ অনুসরণ করায় তিনি গান্ধিবুড়ি নামে পরিচিত ছিলেন।
দিবস পালনঃ আমাদের উৎসব
১) মনীষীদের জন্মদিন ছাড়া আমরা আর কোন কোন দিবস পালন করি?
উত্তর:শিক্ষক দিবস, শিশু দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবস প্রভৃতি।
২) কার জন্মদিনে আমরা শিক্ষক দিবস পালন করি এবং কেন?
উত্তর:ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ এর জন্মদিন।
৩) কার জন্মদিনে শিশু দিবস পালিত হয়?
উত্তর:জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন।
৪) ভারতের সংবিধান বানিয়েছিলেন কে? উত্তর:বাবাসাহেব আম্বেদকর।
৫) স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও প্রথম শিক্ষামন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর:
• প্রথম প্রধানমন্ত্রী- জওহরলাল নেহরু।
• প্রথম শিক্ষামন্ত্রী- আবুল কালাম আজাদ।
৬) কোন দিনটি আমরা সাধারণতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করি?
উত্তর:২৬ জানুয়ারি।
৭) সাধারণতন্ত্র কথার অর্থ কি?
উত্তর:সাধারণতন্ত্র কথার অর্থ সাধারণ মানুষই দেশ চালাবে।
৮) আমরা কেন সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করি?
উত্তর:
সাধারণতন্ত্র কথার অর্থ সাধারণ মানুষ দেশ চালাবে। অর্থাৎ জনসাধারণের ভোটে জিতে ভারতের যেকোনো সাধারণ মানুষ সরকারের প্রধান হতে পারবে এবং দেশ চালাতে পারবে। আমরা আমাদের দেশ কেমনভাবে চালাব তার নিয়ম চালু হয়েছিল ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি। তাই প্রতিবছর ঐ দিনটিকে আমরা সাধারণতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করি।
৯) কোন দিন পালিত হয়ে থাকে?
উত্তর:
• শিক্ষক দিবস- ৫ সেপ্টেম্বর।
•পরিবেশ দিবস- ৫ জুন।
• শিশু দিবস- ১৪ নভেম্বর।
কেউ যেন হারিয়ে না যায়
১) বীরসা মুন্ডা ও তাঁর সঙ্গীরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন কেন?
উত্তর:
বীরসা মুন্ডা ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক এবং মুন্ডা সম্প্রদায়ের নেতা। ইংরেজরা অন্যায়ভাবে চাষের জমি ও বনভূমিতে বসবাসের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তাই বনভূমিতে বসবাসের অধিকার রক্ষার জন্য বিরসা মুন্ডা ও তাঁর সঙ্গীরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
২) বাঁশের কেল্লা কে বানিয়েছিলেন?
উত্তর:তিতুমির।
৩) তিতুমিরের প্রকৃত নাম কি ছিল?
উত্তর:মির নিসার আলি।
৪) তিতুমিরের বাঁশের কেল্লা কীভাবে ভেঙে যায়?
উত্তর:ইংরেজদের কামানের ঘায়ে ভেঙে যায়।
৫) তিতুমির কোন জেলার বাসিন্দা ছিলেন?
উত্তর:উত্তর চব্বিশ পরগণার বাসিন্দা।
৬) তিতুমির ও তাঁর সঙ্গীরা কাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন ও কেন?
উত্তর:ইংরেজদের বিরুদ্ধে এবং তাঁদের সঙ্গী কিছু দেশীয় জমিদারদের অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তিতুমির ও তাঁর সঙ্গীরা।
৭) সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম লেখো।
উত্তর:সিধু ও কানহু।
৮) আঞ্চলিক ঐতিহ্য কাকে বলে?
উত্তর:একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল যে নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য বিখ্যাত, তাকে ঐ অঞ্চলের আঞ্চলিক ঐতিহ্য বলে।
৯) টেরাকোটার কাজ কোথায় হয়?
উত্তর:বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর।
১০) কোথায় ঝিনুক দিয়ে মূর্তি তৈরি হয়?
উত্তর:দিঘায়।
১১) কয়েকটি আঞ্চলিক ঐতিহ্যের নাম লেখো।
উত্তর:বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা শিল্প, পুরুলিয়ার ছৌ নাচ, কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল, জয়নগরের মোয়া, বর্ধমানের মিহিদানা, সবং এর মাদুর প্রভৃতি।
১২) বীরসা মুন্ডা, সিধু, কানহুর মতো মানুষদের আমরা শ্রদ্ধা করি কেন?
উত্তর: বীরসা মুন্ডা ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক এবং মুন্ডা সম্প্রদায়ের নেতা। ইংরেজরা অন্যায়ভাবে চাষের জমি ও বনভূমিতে বসবাসের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তাই বনভূমিতে বসবাসের অধিকার রক্ষার জন্য বিরসা মুন্ডা ও তাঁর সঙ্গীরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। সিধু ও কানহু ছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা। এরা সম্পর্কে দুই ভাই। তাঁরা অত্যাচারী জমিদার, মহাজন এবং ব্রিটিশ কর্মচারীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। এইসকল কারণে এই মানুষদের আমরা শ্রদ্ধা করি।
কেমন করে সমান ভাগ
১) পাহাড় থেকে জল গড়িয়ে কোথায় যায়?
উত্তর:সমতলে যায়।
২) বন থাকার ফলে আমাদের কি সুবিধা হয়?
উত্তর:
বন থাকার ফলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়।
• বনে প্রচুর গাছ থাকে। সেইসব গাছের পাতা থেকে আমরা অক্সিজেন পাই, যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য উপাদান।
• বন থেকে আমরা কাঠ পাই যা বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরিতে কাজে লাগে।
• বন থাকার জন্য ভালোভাবে বৃষ্টিপাত হয় যা কৃষিকাজে সাহায্য করে।
• বন থাকার ফলে পরিবেশ দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
৩) সম্পদ সকলের মধ্যে ভাগ করা উচিৎ কেন?
উত্তর: আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভূমিরূপ হওয়ার কারণে সব জায়গায় একই সম্পদ পাওয়া যায় না। যেমন- বন থেকে আমরা পাই কাঠ, মধু, মোম প্রভৃতি। সমতলে ধান ও গমের চাষ ভালো হয়, আবার কোনো অঞ্চলে পাওয়া যায় কয়লা, লোহা প্রভৃতি খনিজ সম্পদ। তাই সম্পদকে সকলের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করে দিতে হবে। যাতে এক অঞ্চলের মানুষ অন্য অঞ্চলের উন্নতিতে এগিয়ে আসতে পারে এবং কেউ সম্পদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।