সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস
দ্বিতীয় অধ্যায়-ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা
ক্লাস 7 ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর সাজেশন 2024
সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় - ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা থেকে প্রশ্ন উত্তর আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর। এর মধ্যে থেকে পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। গত সাত বছরের সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্নপত্র পর্যবেক্ষণ করে লেখা প্রশ্ন উত্তর।West Bengal Board Class 7 History lesson 2 important questions answers suggestion.
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
১) বঙ্গ নামটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় কোথায়?
উত্তর:ঋবেদের ঐতরেয় আরণ্যক-এ।
২) কালিদাসের কোন কাব্যে বঙ্গ ও সুহ্ন নামদুটির উল্লেখ পাওয়া যায়?
উত্তর:রঘুবংশম কাব্যে।
৩) আইন ই আকবরি গ্রন্থের লেখক কে? এই গ্রন্থে তিনি বঙ্গ রাজ্যটিকে কি বলে উল্লেখ করেছেন?
উত্তর:মুঘল যুগের ঐতিহাসিক আবুল ফজল। এই গ্রন্থে তিনি বঙ্গ রাজ্যটিকে সুবা বাংলা বলে উল্লেখ করেছেন।
৪) সুবা কথার অর্থ কি?
উত্তর:প্রদেশ বা রাজ্য।
৫) ইউরোপীয় বণিকরা বঙ্গদেশের নাম কি দিয়েছিলেন?
উত্তর:বেঙ্গালা।
৬) কোন তিনটি নদী দিয়ে প্রাচীন বাংলার সীমানা তৈরি হয়েছিল?
উত্তর:ভাগীরথী, পদ্মা ও মেঘনা।
৭) প্রাচীন বাংলা কয়টি অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছিল? এর মধ্যে বৃহত্তম অঞ্চল কোনটি?
উত্তর:৯ টি।
এর মধ্যে বৃহত্তম অঞ্চল পুন্ড্রবর্ধন।
৮) ভুক্তি কথাটির অর্থ কি?
উত্তর:শাসন এলাকা।
৯) কোন দুটি নদীর মাঝের এলাকা বরেন্দ্র নামে পরিচিত ছিল?
উত্তর:ভাগীরথী ও করতোয়া নদীর মাঝের এলাকা।
১০) কোন দুটি নদীর মাঝের এলাকাকে বঙ্গ বলা হত?
উত্তর:পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর মাঝে ত্রিভুজের মতো দেখতে বদ্বীপ এলাকাকে।
১১) কোন অঞ্চল বঙ্গাল নামে পরিচিত ছিল?
উত্তর:বঙ্গের দক্ষিণ সীমানাবর্তী বঙ্গোপসাগরের উপকূল অঞ্চল।
১২) প্রাচীন রাঢ় অঞ্চল কয়ভাগে বিভক্ত ছিল ও কি কি?
উত্তর:দুইভাগে।
উত্তর রাঢ় এবং দক্ষিণ রাঢ়।
১৩) উত্তর রাঢ় এবং দক্ষিণ রাঢ়ের মাঝের সীমানায় কোন নদী ছিল?
উত্তর: অজয় নদ।
১৪) কালিদাসের কাব্যে ও মহাভারতে রাঢ় অঞ্চলের কোন দুই নদীর নামের উল্লেখ আছে? উত্তর:ভাগীরথী এবং কাঁসাই বা কংসাবতী।
১৫) বরাহমিহিরের লেখা অনুযায়ী কোন কোন অঞ্চল গৌড় রাজ্যের অন্তর্গত ছিল?
উত্তর:মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং বর্ধমান জেলার পশ্চিম ভাগ।
১৬) প্রাচীন বাংলার কোন রাজ্যের প্রধান অঞ্চল ছিল আজকের মুর্শিদাবাদ জেলা?
উত্তর:গৌড় রাজ্যের।
১৭) খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে কার আমলে গৌড় রাজ্যের সীমানা বেড়ে গিয়েছিল?
উত্তর:রাজা শশাঙ্কের আমলে।
১৮) কোন অঞ্চল প্রাচীন যুগে হরিকেল নামে পরিচিত ছিল?
উত্তর:বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের উপকূল অঞ্চল।
১৯) বাংলার কোন অঞ্চলকে সীমান্তবর্তী এলাকা ধরা হত? এই অঞ্চলকে বাংলার বাকি অঞ্চল
থেকে আলাদা রেখেছিল কোন নদী?
উত্তর:সমতট অঞ্চলকে সীমান্তবর্তী এলাকা ধরা হত।
মেঘনা নদী এই অঞ্চলকে বাংলার বাকি অঞ্চলের থেকে আলাদা করেছিল।
২০) মুর্শিদাবাদ জেলার চিরুটি বর্তমানে কি নামে পরিচিত?
উত্তর:কর্ণসুবর্ণ।
২১) শশাঙ্কের রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তর:কর্ণসুবর্ণ।
২২) কর্ণসুবর্ণ স্থানীয়ভাবে কি নামে পরিচিত?
উত্তর:রাজা কর্ণের প্রাসাদ।
২৩) হিউয়েন সাঙের বিবরণীতে কোন বৌদ্ধবিহারের উল্লেখ পাওয়া যায়? চিনা ভাষায় এই বৌদ্ধবিহারের নাম কি?
উত্তর:রক্তমৃত্তিকা বৌদ্ধ বিহারের।
চিনা ভাষায় এই বৌদ্ধ বিহারের নাম লো-টো-মো-চিহ্।
২৪) রক্তমৃত্তিকা বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর:মুর্শিদাবাদ জেলার চিরুটি (বর্তমান নাম কর্ণসুবর্ণ) রেলস্টেশনের কাছে রাজবাড়ি ডাঙায়।
২৫) শশাঙ্কের মৃত্যুর পর কর্ণসুবর্ণ কার হাতে চলে যায়?
উত্তর:কামরূপের রাজা ভাস্করবর্মার হাতে।
২৬) সকলোত্তরপথনাথ কার উপাধি ছিল?
উত্তর:থানেশ্বরের পুষ্যভূতি বংশের শাসক হর্ষবর্ধনের।
২৭) শশাঙ্ককে কোথায় কোথায় বৌদ্ধ বিদ্বেষী বলে উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর:সুয়ান জাং এর ভ্রমন বিবরণীতে এবং আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প নামক বৌদ্ধ গ্রন্থে।
২৮) শশাঙ্ক কোন ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন?
উত্তর:শৈব ধর্মে।
২৯) হর্ষচরিত গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর:হর্ষবর্ধনের সভাকবি বানভট্ট।
৩০) গৌড়তন্ত্র কি?
উত্তর:শশাঙ্কের রাজত্বকালে গৌড় রাজ্যে গড়ে ওঠা শাসন ব্যবস্থাকে গৌড়তন্ত্র বলে। এই ব্যবস্থায় রাজ্যের কর্মচারী বা আমলারা একটি নির্দিষ্ট শাসনপ্রণালী গড়ে তুলেছিল। এই সময় স্থানীয় লোকেদের কাজকর্মে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে।
৩১) শশাঙ্কের আমলে স্থানীয় প্রধানরা কি নামে পরিচিত ছিলেন?
উত্তর:মহত্তর নামে।
৩২) গৌড়বহো কাব্য কে কোন ভাষায় রচনা করেন?
উত্তর:গৌড়বহো কাব্য কনৌজের শাসক যশোবর্মনের রাজকবি বাষ্পতিরাজ রচনা করেন প্রাকৃত ভাষায়।
৩৩) শশাঙ্কের সময় কোন ধাতুর মুদ্রা প্রচলিত ছিল এবং কোন ধাতুর মুদ্রা প্রচলিত ছিল না? উত্তর:সোনার মুদ্রা প্রচলিত ছিল এবং রুপোর মুদ্রা প্রচলিত ছিল না।
৩৪) শশাঙ্কের মৃত্যুর পরবর্তী সময় বাংলার ইতিহাসে কি নামে পরিচিত?
উত্তর:মাৎসান্যায়ের যুগ নামে।
৩৫) মাৎসান্যায় যুগ কবে শুরু হয়েছিল? এই যুগ স্থায়ী হয়েছিল কত বছর?
উত্তর:শশাঙ্কের মৃত্যুর পর খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের মধ্যভাগে। এই যুগ স্থায়ী হয়েছিল ১০০ বছর।
৩৬) মাৎসান্যায় যুগের অবসান ঘটান কে?
উত্তর:পাল সম্রাট গোপাল।
৩৭) অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
উত্তর:কৌটিল্য।
৩৮) পাল রাজাদের আদি নিবাস কোথায় ছিল? উত্তর:সম্ভবত বরেন্দ্র অঞ্চলে।
৩৯) বাংলায় পাল রাজত্ব শুরু হয় কবে? এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
উত্তর:আনুমানিক ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে। প্রতিষ্ঠাতা- গোপাল।
৪০) বাংলার প্রথম নির্বাচিত রাজা কে ছিলেন?
উত্তর:গোপাল।
৪১) কোন রাজার শাসনকালের পরে পালদের ক্ষমতা কমতে শুরু করে?
উত্তর:পাল রাজা দেবপালের পরে।
৪২) কোন রাজার শাসনকালে পাল রাজ্য পূর্ব গৌরব ফিরে পায়?
উত্তর:রাজা প্রথম মহীপালের শাসনকালে।
৪৩) পাল রাজা রামপালের রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তর:বরেন্দ্র অঞ্চলের রামাবতীনগর।
৪৪) পাল রাজারা কোন ধর্মের অনুরাগী ছিলেন?
উত্তর:বৌদ্ধ ধর্মের।
৪৫) পাল আমলের শাসনব্যবস্থায় কাদের প্রাধান্য দেখা যেত? এরা কি নামে পরিচিত ছিলেন?
উত্তর:সামন্তনেতাদের প্রাধান্য দেখা যেত।
এরা রাজন, সামন্ত, মহাসামন্ত ইত্যাদি নামে পরিচিত ছিলেন।
৪৬) কোন পাল রাজার রাজত্বকালে কৈবর্ত বিদ্রোহ হয়েছিল?
উত্তর:দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্বকালে।
৪৭ ) কবে কোথায় কৈবর্ত বিদ্রোহ হয়েছিল? এই বিদ্রোহের নেতাদের নাম লেখ।
উত্তর:একাদশ শতকের দ্বিতীয়ভাগে বাংলার উত্তরভাগে। এই বিদ্রোহের নেতাদের নাম- দিব্য,
রুদোক এবং ভীম।
৪৮) কৈবর্তরা পেশায় কি ছিল?
উত্তর:নৌকার মাঝি বা জেলে।
৪৯) সন্ধ্যাকর নন্দীর কোন কাব্যে কৈবর্ত বিদ্রোহের বিবরণ আছে?
উত্তর:রামচরিত কাব্যে।
৫০) কৈবর্ত বিদ্রোহের ফলে কোন অঞ্চলটি পালদের হাত থেকে বেড়িয়ে যায়?
উত্তর:বরেন্দ্র অঞ্চল।
৫১) কোন পাল রাজা কৈবর্ত বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে নিহত হন?
উত্তর:পাল রাজা মহীপাল।
৫২) কোন পাল রাজা কৈবর্ত বিদ্রোহ দমন করেন?
উত্তর:পাল রাজা রামপাল।
৫৩) কোন সেন রাজার আমলে বাংলায় তুর্কি আক্রমণ হয়?
উত্তর:সেন রাজা লক্ষ্মণ সেনের আমলে।
৫৪) রাজা লক্ষ্মণ সেনের রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তর:পূর্ববঙ্গের বিক্রমপুরে।
৫৫) পাল শাসনের তুলনায় সেন শাসন কম দিন স্থায়ী হয়েছিল কেন?
উত্তর:এর প্রধান কারণ ছিল তুর্কি অভিযান। লক্ষ্মণ সেনের আমলে বাংলায় তুর্কি অভিযানের কারণে সেন বংশ ধীরে ধীরে পতনের দিকে এগিয়ে যায়।
৫৬) দাক্ষিণাত্যে রাষ্ট্রকূটরা প্রথমদিকে কাদের অধীনে ছিল?
উত্তর:কর্ণাটকের চালুক্য শক্তির অধীনে।
৫৭) প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্রকূট রাজা কে ছিলেন?
উত্তর:দস্তিদুর্গ।
৫৮) গুর্জর-প্রতিহার শক্তির সবচেয়ে ক্ষমতাবান রাজা কে ছিলেন? তিনি কোথায় তার রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেন?
উত্তর:রাজা ভোজ।
তিনি তার রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেন কনৌজে।
৫৯) ত্রিশক্তি সংগ্রাম কত বছর ধরে চলেছিল? এই সংগ্রামের উদ্দেশ্য কি ছিল?
উত্তর:২০০ বছর ধরে।
এই সংগ্রামের উদ্দেশ্য ছিল কনৌজ অধিকার।
৬০) ত্রিশক্তি সংগ্রামে কারা জড়িয়ে পড়েছিল?
উত্তর:পাল, গুর্জর-প্রতিহার এবং রাষ্ট্রকূট রাজারা।
৬১) কোন অঞ্চল ঘিরে চোল সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল?
উত্তর:কাবেরী ও তার শাখানদীর ব-দ্বীপকে ঘিরে।
৬২) চোল রাজাদের আদি বাসস্থান কোথায় ছিল?
উত্তর:দক্ষিণ ভারতের কর্ণাট অঞ্চল অর্থাৎ মহীশূর ও তার আশেপাশের এলাকা।
৬৩) চোল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন? চোলদের রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তর:প্রতিষ্ঠাতা- বিজয়ালয়।
রাজধানী- তাঞ্জোর।
৬৪) কোন চোল রাজা কল্যাণীর চালুক্য শক্তিকে পরাজিত করেন?
উত্তর:প্রথম রাজেন্দ্র চোল।
৬৫) গঙ্গাইকোন্ড চোল উপাধি কে নিয়েছিলেন এবং কেন?
উত্তর:চোল রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল।
গঙ্গা নদীর তীরে পাল রাজাকে হারিয়ে তা স্মরণীয় করে রাখার জন্য।
৬৬) দক্ষিণ ভারতের কোন বংশ প্রথম নৌবাহিনী গঠন করেন?
উত্তর:চোল বংশ।
৬৭) প্রাচীন ভারতে কোন রাজারা সমুদ্রপথে ভারতীয় বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করত?
উত্তর:চোল রাজারা।
৬৮) রাজপুত কাদের বলা হত?
উত্তর:খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে হুনদের আক্রমণের পরে বেশ কিছু মধ্য এশিয় উপজাতির মানুষ উত্তর পশ্চিম ভারতে বসবাস করতে থাকে। স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের বিবাহও হয়। এদের বংশধরদের রাজপুত বলা হত।
৬৯) এশিয়া মহাদেশের কোন ভাগে আরব অবস্থিত? আরব দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নাম লেখ।
উত্তর:এশিয়া মহাদেশের পশ্চিম ভাগে আরব অবস্থিত। দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর- মক্কা ও মদিনা।
৭০) বেদুইন কাদের বলা হত? এরদের অন্যতম খাদ্য কি ছিল?
উত্তর:আরব উপদ্বীপের মক্কা ও মদিনা এই দুটি শহরের যাযাবর মানুষদের বলা হত বেদুইন। এদের অন্যতম খাদ্য ছিল খেজুর এবং উটের দুধ।
৭১) খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকের শুরুতে আরব উপজাতির প্রধান জীবিকা কি ছিল?
উত্তর:ব্যাবসা।
৭২) হজরত মহম্মদের জন্ম হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? তিনি কোন উপজাতির মানুষ ছিলেন?
উত্তর:৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি কুরেশি উপজাতির মানুষ ছিলেন।
৭৩) হজরত মহম্মদকে আল্লাহর বার্তাবাহক মনে করা হয় কেন?
উত্তর:৬১০ খ্রিষ্টাব্দে হজরত মহম্মদ ঘোষণা করেন যে, আল্লাহ্ বা ঈশ্বর তাঁকে দূত মনোনীত করেছেন। সেজন্যই মহম্মদকে আল্লাহ্র বার্তাবাহক মনে করা হয়।
৭৪) হিজরত কাকে বলে?
উত্তর:৬২২ খ্রিষ্টাব্দে হজরত মহম্মদ ও তাঁর অনুগামীরা মদিনা শহরে চলে আসেন। তাদের মক্কা থেকে মদিনায় এই চলে যাওয়াকে আরবি ভাষায় হিজরত বলা হয়।
৭৫) হিজরি কি?
উত্তর:৬২২ খ্রিষ্টাব্দে হজরত মহম্মদ ও তাঁর অনুগামীরা মক্কা থেকে মদিনায় চলে আসেন। ঐ সময় থেকে হিসাব করে ইসলামীয় সাল গণনা শুরু হয়। একেই হিজরি বলে।
৭৬) হাদিস কি?
উত্তর:হজরত মহম্মদের উপদেশাবলির সংকলনকে হাদিস বলে।
৭৭) কত খ্রিষ্টাব্দে হজরত মহম্মদ পরলোক গমন করেন?
উত্তর:৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে।
৭৮) খলিফা কাদের বলে?
উত্তর:হজরত মহম্মদের প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী হলেন খলিফা। এছাড়াও খলিফা ছিলেন ইসলামীয় জগতের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা।
৭৯) খলিফা শব্দের আক্ষরিক অর্থ কি? প্রথম খলিফা কে ছিলেন?
উত্তর:হজরত মহম্মদের প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী। প্রথম খলিফা- আবু বকর।
৮০) দার-উল-ইসলাম বলতে কি বোঝায়?
উত্তর:যেসব অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের ক্ষমতা ছড়িয়ে পড়েছে, সেগুলি হল দার-উল-ইসলাম।
৮১) খলিফার অধিকৃত অঞ্চল কি নামে পরিচিত?
উত্তর:খিলাফত।
৮২) কোরান কি?
উত্তর:ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হল কোরান, যেখানে আল্লাহর বাণী প্রকাশিত হয়েছে।
৮৩) ইসলাম ধর্ম প্রচারিত হওয়ার আগে থেকেই ইসলামীয়দের পবিত্র তীর্থ কোনটি ছিল?
উত্তর:কাবা।
৮৪) ভারতে প্রথম মুসলিম আক্রমণকারী কে ছিলেন?
উত্তর:মহম্মদ বিন কাশেম।
৮৫) আরবদের পর কোন মুসলিম শক্তি ভারত আক্রমণ করে?
উত্তর:তুর্কি।
৮৬) গজনির সুলতান মামুদের ভারত আক্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য কি ছিল? তিনি কতবার ভারত আক্রমণ করেন?
উত্তর:ভারতের ধনসম্পদ লুঠ করা।
তিনি মোট ১৭ বার ভারত আক্রমণ করেছিলেন।
৮৭) সুলতান মামুদের আমলের দুজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির নাম লেখ।
উত্তর:অল বিরুনি এবং ফিরদৌসি।
৮৮) কিতাব অল হিন্দ এবং শাহনামা কাব্য দুটির লেখক কে?
উত্তর:. কিতাব অল হিন্দ- অল বিরুনি।
• শাহনামা- ফিরদৌসি।
৮৯) তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল? জয়লাভ করেন কে?
উত্তর:১১৯২ খ্রিষ্টাব্দে মহম্মদ ঘোরি এবং রাজপুত রাজা তৃতীয় পৃথ্বীরাজ চৌহানের মধ্যে।
জয়লাভ করেন মহম্মদ ঘোরি।
৯০) কোন তুর্কি সেনাপতি বাংলার নদীয়া দখল করেছিল? তিনি নিজের রাজধানী কোথায় স্থাপন করেন?
উত্তর:ইখতিয়ারউদ্দিন মহম্মদ বখতিয়ার খিলজি। তিনি নিজের রাজধানী স্থাপন করেছিলেন- লক্ষণাবতীতে।
৯১) দিল্লিতে সুলতানি সাম্রাজ্যের সূচনা করেন কে?
উত্তর:কুতুবউদ্দিন আইবক।
৯২) সুলতানি যুগের একজন ঐতিহাসিকের নাম লেখ।
উত্তর: মিনহাজ-উস-সিরাজ।
৯৩) আরবদের সফল সিন্ধু অভিযান কবে কার নেতৃত্বে হয়েছিল? এই সময় সিন্ধুর রাজা কে ছিলেন?
উত্তর:৭১২ খ্রিষ্টাব্দে আরবরা মহম্মদ বিন কাশেমের নেতৃত্বে সিন্ধু অভিযান করেন। এই সময় সিন্ধুর রাজা ছিলেন দাহির।