Class - 6
ভূগোল
দ্বিতীয় অধ্যায়-পৃথিবী কি গোল?
ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় - পৃথিবী কি গোল? এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর। এর মধ্যে থেকে পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। গত সাত বছরের ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্নপত্র পর্যবেক্ষণ করে লেখা প্রশ্ন উত্তর।West Bengal Board Class 6 Geography lesson 2 important questions answers suggestion.
গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর
১) পৃথিবীর উপর চাঁদের ছায়া দেখে কে বলেন পৃথিবী গোলাকার?
উত্তর:গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল।
২) পৃথিবীর গোলাকার ধারণাকে সমর্থন করেন কারা?
উত্তর:ভারতীয় বিজ্ঞানী আর্যভট্ট এবং গ্রিক ভূগোলবিদ এরাটোসথেনিস।
৩) ভূ-পর্যটক ম্যাগেলান কত খ্রিষ্টাব্দে কয়টি জাহাজ নিয়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন?
উত্তর:১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দে ৫ টি জাহাজ নিয়ে।
৪) ম্যাগেলান জাহাজ নিয়ে ক্রমাগত কোনদিকে যাত্রা শুরু করেন?
উত্তর:পশ্চিমদিকে।
৫) দিগন্ত কাকে বলে?
উত্তর:আকাশ যেখানে পৃথিবীতে এসে মিশেছে বলে মনে হয়, তাকে দিগন্ত বলে।
৬) পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ ও পরিধি কত?
উত্তর:• গড় ব্যাসার্ধ- ৬৪০০ কিমি।
পরিধি- প্রায় ৪০০০০ কিমি।
৭) পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ও মেরুব্যাস কত?
উত্তর: • নিরক্ষীয় ব্যাস- ১২৭৫৬ কিমি।
• মেরুব্যাস- ১২৭১৪ কিমি।
৮) পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস মেরুব্যাসের থেকে কত বেশি?
উত্তর:৪২ কিমি বেশি।
৯) পৃথিবী মাঝবরাবর কত কিমি স্ফীত?
উত্তর:৪২ কিমি।
১০) পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান কি? এর উচ্চতা কত?
উত্তর:হিমালয় পর্বতের মাউন্ট এভারেস্ট। উচ্চতা- ৮৮৪৮ মিটার।
১১) পৃথিবীর সর্বনিম্ন স্থান কোনটি? এর গভীরতা কত?
উত্তর:মারিয়ানা খাত। গভীরতা- ১০৯১৫ মিটার।
১২) পৃথিবীর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্থান দুটির পার্থক্য কত?
উত্তর:প্রায় ২০ কিমি।
১৩) জিয়ড কাকে বলে?
উত্তর:পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি পৃথিবীরই মতো। এই আকৃতিকেই ইংরেজিতে জিয়ড বলে।
১৪) মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে কেমন দেখতে লাগে?
উত্তর:উজ্জ্বল নীল বলের মতো।
১৫) দিক নির্ণয়ের জন্য কোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়?
উত্তর:কম্পাস।
১৬) কোন স্থান থেকে ধ্রুবতারাকে ঠিক মাথার উপর দেখা যায়?
উত্তর:সুমেরু থেকে।
১৭) পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার হলেও ভূ-পৃষ্ঠকে চ্যাপটা বা সমতল মনে হয় কেন?
উত্তর:বৃত্তচাপ যত বেশি দৈর্ঘ্যের ব্যাসার্ধ নিয়ে আঁকা হয় তার বাঁকাভাব তত কম হয়। পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ ৬৪০০ কিমি। এতো বড় ব্যাসার্ধের একটা বৃত্তের উপর দাঁড়িয়ে এর খুব সামান্য অংশই আমাদের চোখে পড়ে। তাই ভূ-পৃষ্ঠকে চ্যাপটা বা সমতল বলেই মনে হয়।
১৮) গোলাকার পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে আমরা পড়ে যাই না কেন?
উত্তর:ভূ-পৃষ্ঠের উপর থাকা সকল বস্তুকে পৃথিবী নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ বলের জন্যই আমরা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে পড়ে যাই না।
১৯) 'পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি পৃথিবীর মতো'- উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো।
উত্তরঃ পৃথিবী নিজের অক্ষের চারদিকে অনেক দ্রুত ঘোরে বলে উপর নীচ কিছুটা চাপা, আর মাঝবরাবর কিছুটা স্ফীত। তাই পৃথিবী পুরোপুরি গোল নয়। কমলালেবু বা ন্যাসপাতির সঙ্গে পৃথিবীর আকৃতির কিছুটা মিল থাকলেও আসলে পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি পৃথিবীরই মতো। একে ইংরেজিতে বলা হয় জিয়ড।
২০) পৃথিবী যে গোলাকার তার তিনটি প্রমাণ লেখ।
উত্তর:
• চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের উপর পৃথিবীর গোলাকার ছায়া পড়ে। কোনো গোলাকার বস্তুর ছায়াই একমাত্র গোলাকার হয়।
• পৃথিবী গোলাকার বলেই বিভিন্ন দেশে আলাদা আলাদা সময়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়ে থাকে। পৃথিবী সমতল হলে সকল জায়গায় একই সময় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হত।
কোনো বিশাল উন্মুক্ত জায়গায় চারিদিকে তাকালে মনে হয় আকাশ যেন ভূমির সঙ্গে একটি বৃত্তাকার রেখায় মিলিত হয়েছে। একে দিগন্তরেখা বলে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে যত উঁচুতে ওঠা যায় দিগন্তরেখার পরিধিও তত বাড়তে থাকে। পৃথিবী গোলাকার বলেই এমনটা সম্ভব হয়।
Read also: