Class 5 poribesh chapter 3 important questions answers 2024

                পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ

                  তৃতীয় অধ্যায়

                    পশ্চিমবঙ্গ 

পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ পরীক্ষার জন্য তৃতীয় অধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হল।

Class 5 poribesh chapter 3 important questions answers.

West Bengal Board Class 5 poribesh chapter 3 important questions answers.

              জমির ঢাল বা ভূমির ঢাল

১) পশ্চিমবঙ্গের ভূমির ঢাল কোনদিক থেকে কোনদিকে বিস্তৃত হয়েছে?

উত্তর:উত্তর থেকে দক্ষিণে এবং পশ্চিম থেকে পূর্বে।

২) পশ্চিমবঙ্গের নদীগুলি কোনদিক থেকে কোনদিকে প্রবাহিত হয়েছে?

উত্তর:বেশিরভাগ নদী উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। তবে দামোদর পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর দক্ষিণে গিয়ে গঙ্গায় মিশেছে।

৩) দামোদর নদী দক্ষিণে গিয়ে কোথায় মিশেছে?

উত্তর:গঙ্গায় মিশেছে।

৪) দামোদর যেখানে গঙ্গার সঙ্গে মিশেছে সেখানে গঙ্গার নাম কি?

উত্তর: হুগলি নদী।

৫) কালভার্ট কি?

উত্তর:কোনো জলাশয় থেকে নির্গত নালা বা কোনো নদী থেকে নির্গত খাল যদি কোনো রাস্তাকে অতিক্রম করতে চায় তখন রাস্তার নীচে জল পরিবহণের পাইপ বা সুড়ঙ্গ রেখে রাস্তার উপরের অংশটিকে কংক্রিটের আচ্ছাদনে ঢাকা হয়, একেই কালভার্ট বলে।


                 পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল

১) পশ্চিমবঙ্গের কোনদিকে মালভূমি অঞ্চল অবস্থিত?

উত্তর:পশ্চিমদিকে।

২) পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলা নিয়ে মালভূমি অঞ্চল বিস্তৃত?

উত্তর:সমগ্র পুরুলিয়া জেলা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম ও বর্ধমান জেলার পশ্চিম অংশ নিয়ে মালভূমি অঞ্চল বিস্তৃত।

৩) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চল কোন মালভূমির অংশ? 

উত্তর:ছোটনাগপুর মালভূমির অংশ।

৪) মালভূমি অঞ্চলের মাটির রং লালচে কেন?

উত্তর:লোহার অক্সাইড মিশে থাকে বলে এখানকার মাটির রং লালচে হয়।

৫) মালভূমি অঞ্চলের মাটিতে কি কি মেশানো থাকে? 

উত্তর:পাথর, কাঁকর প্রভৃতি।

৬) বাঁকুড়ার চারদিকে কিসের জঙ্গল দেখা যায়? উত্তর:শালগাছের জঙ্গল।

৭) শালগাছের পাতা থেকে কি বানানো হয়?

উত্তর: প্লেট বানানো হয়।

৮) মালভূমি অঞ্চলে কি কি গাছ দেখা যায়?

উত্তর:শাল, সেগুন, পলাশ, মেহগনি প্রভৃতি।

৯) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলে অবস্থিত কয়েকটি পাহাড়ের নাম লেখ।

উত্তর:বীরভূম জেলার মামা ভাগ্নে পাহাড়, বাঁকুড়া জেলার শুশুনিয়া পাহাড়, পুরুলিয়া জেলার অযোধ্যা পাহাড় প্রভৃতি।

১০) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের প্রধান নদী কোনটি?

উত্তর:দামোদর।

১১) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর:

• মালভূমি অঞ্চল উঁচু-নিচু ঢেউ খেলান হয়। এখানকার গড় উচ্চতা ৩০০ মিটারের কম।

• মালভূমির মাঝে মাঝে উঁচু টিলা বা পাহাড় দেখা যায়।

• মালভূমি পাথর ও কাঁকরযুক্ত অনুর্বর লালমাটি দিয়ে আবৃত।

                  রাঢ় অঞ্চল

১) রাঢ় কথার অর্থ কি?

উত্তর:পাথুরে জমি।

২) রাঢ় অঞ্চল কাকে বলে?

উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের পূর্বদিকে এবং ভাগীরথী নদীর পশ্চিমদিকে যে সামান্য ঢেউ খেলানো রুক্ষ সমভূমি দেখা যায়, তাকেই রাঢ় অঞ্চল বলে।

৩) বাঁকুড়া জেলার পশ্চিমদিক থেকে পূর্ব দিকে বয়ে গেছে কোন নদী?

উত্তর:দারকেশ্বর নদ।

৪) দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী নদী কোথায় মিলেছে?

উত্তর:পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের কাছে।

৫) দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী নদীর মিলিত প্রবাহের নাম লেখ।

 উত্তর:রূপনারায়ণ নদী।

৬) রূপনারায়ণ নদী গেওখালিতে গিয়ে কোন নদীতে মিশেছে? 

উত্তর:হুগলী নদীতে।

৭) কেলেঘাই এবং কংসাবতী নদী মিলে কোন নদী তৈরি হয়েছে? 

উত্তর:হলদি নদী।

৮) হুগলীর কাছাকাছি দামোদর থেকে বেরিয়ে আসা একটি নদীর নাম লেখ। 

উত্তর:মুন্ডেশ্বরী নদী।

৯) বীরভূম জেলায় অবস্থিত দুটি নদনদীর নাম লেখ। 

উত্তর:অজয় নদ এবং ময়ূরাক্ষী নদী।

১০) রাঢ় অঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গায় কোন মাটি দেখা যায়? 

উত্তর:দোআঁশ মাটি।

১১) রাঢ় অঞ্চলে কি কি গাছ দেখা যায়?

উত্তর:শাল, শিশু, সেগুন, মেহগনি প্রভৃতি।

১২) রাঢ় অঞ্চলে কীভাবে চাষবাস শুরু হয়েছিল? উত্তর:বন জঙ্গল কেটে।

১৩) রাঢ় অঞ্চলে অবস্থিত দুটি শিল্পাঞ্চলের নাম লেখ। 

উত্তর:হলদিয়া শিল্পাঞ্চল, খড়গপুর শিল্পাঞ্চল।

১৪) শহরগুলি কোন জেলায় অবস্থিত?

উত্তর:

• হলদিয়া- পূর্ব মেদিনীপুর।

• বিষ্ণুপুর- বাঁকুড়া।

• দুর্গাপুর- বর্ধমান।

১৫) রাঢ় অঞ্চলের ভূমিরূপের বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর:

• রাঢ় অঞ্চলটি পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল থেকে আগত নদী সমূহের দ্বারা বাহিত পলি সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্টি হয়েছে।

• অঞ্চলটি পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ঢালু।

• রাঢ় অঞ্চলের অধিকাংশ স্থান দোআঁশ মাটি দ্বারা আবৃত।


            বরফ গলা জলের নদী

১) কয়েকটি বরফগলা জলে পুষ্ট নদীর নাম লেখ।

উত্তর:গঙ্গা, তিস্তা, তোর্সা, জলঙ্গী, ইছামতী প্রভৃতি।

২) নিত্যবহ নদী কাকে বলে?

উত্তর:যে সমস্ত নদী বরফগলা জলে পুষ্ট, সারা বছর নদীতে জল থাকে এবং নৌ পরিবহণযোগ্য, সেই সমস্ত নদীকে বলা হয় নিত্যবহ নদী। যেমন- গঙ্গা, তিস্তা, তোর্সা, জলঙ্গী প্রভৃতি।

৩) গঙ্গা নদী কোথায় উৎপত্তি লাভ করেছে?

উত্তর:উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে।

৪) গঙ্গা নদী কোন সাগরে মিশেছে?

উত্তর:বঙ্গোপসাগরে।

৫) গঙ্গা নদী পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে কোন জেলায়?

উত্তর:মুর্শিদাবাদ জেলায়।

৬) গঙ্গা নদী দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে কোথায়? উত্তর:মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলার কাছে

৭) গঙ্গার প্রধান শাখানদীগুলির নাম লেখ।

 উত্তর:পদ্মা ও ভাগীরথী।

৮) গঙ্গার কোন শাখানদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে? 

উত্তর:পদ্মা।

৯) গঙ্গার কোন শাখানদী পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে? 

উত্তর:ভাগীরথী।

১০) নদীয়া জেলায় অবস্থিত কয়েকটি নদীর নাম লেখ। 

উত্তর:জলঙ্গী, মাথাভাঙ্গা, ইছামতী প্রভৃতি।

১১) পর্বতের মাথায় বরফ জমে কেন?

উত্তর:পুকুর, নদী, হ্রদ, সমুদ্র প্রভৃতি জলাশয়ের জল সূর্যের তাপে বাষ্প হয়ে প্রতিনিয়ত উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। উপরের ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে এসে এই বাষ্প জলকণায় পরিণত হয়। পর্বতের মাথায় ঠাণ্ডা আরও বেশি বলে সেখানে তুষারপাত হয়। এই তুষার জমেই পর্বতের মাথায় বরফ হিসাবে অবস্থান করে।

১২) গঙ্গা নদীর গতিপথ আলোচনা করো।

উত্তর:গঙ্গা নদী উত্তরাখন্ড রাজ্যে হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেছে। এরপর এই নদী দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে একটি শাখা পদ্মা নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। অপর শাখা ভাগীরথী ও হুগলী নামে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়েই প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে।


আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি

১) গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ কাকে বলে?

উত্তর:গঙ্গার দুটি শাখা ভাগীরথী ও পদ্মার মাঝ বরাবর নদীবাহিত পলি, বালি, কাদা একসঙ্গে জমা হয়ে বাংলার মাত্রাহীন 'ব' অক্ষরের মতো যে উর্বর দ্বীপ সমভূমি সৃষ্টি হয়েছে, তা গাঙ্গেয় ব- দ্বীপ নামে পরিচিত।

২) গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলের মাটি উর্বর কেন?

উত্তর:গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলটি পলিমাটি দ্বারা গঠিত। এই পলিমাটিতে বালি ও কাদার পরিমাণ নির্দিষ্ট অনুপাতে থাকে বলে এর জলধারণ ক্ষমতাও স্বাভাবিক। তাই এই মাটি উর্বর হয়।

৩) পশ্চিমবঙ্গের কোনদিকে সুন্দরবন অবস্থান করেছে?

উত্তর:একেবারে দক্ষিণদিকে।

৪) সুন্দরবন অঞ্চলের মাটি কেমন প্রকৃতির?

উত্তর:নোনা প্রকৃতির।

৫) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গান কোন দুটি দেশের জাতীয় সংগীত? 

উত্তর:ভারত ও বাংলাদেশ।

৬) বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত কোনটি?

উত্তর:আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।

৭) 'আমার সোনার বাংলা' গানটি কে কত খ্রিস্টাব্দে লেখেন? 

উত্তর:১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৮) কিসের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'আমার সোনার বাংলা' গানটি লেখেন? 

উত্তর:বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে।

৯) কোন অঞ্চল দেখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাতৃভূমিকে 'সোনার বাংলা' বলেছিলেন? উত্তর:শিলাইদহ অঞ্চল দেখে।

১০) গঙ্গার কাছে কোথায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি? 

উত্তর:কলকাতার জোড়াসাঁকোতে।

১১) পদ্মার কাছে কোথায় রবি ঠাকুরের পৈত্রিক জমিদারি ছিল? 

উত্তর:শিলাইদহতে।

১২) কত খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল? 

উত্তর:১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে।

১৩) বঙ্গভঙ্গ কি?

উত্তর:১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজরা বাংলাকে দুই ভাগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এই ঘটনা বঙ্গভঙ্গ নামে পরিচিত।

১৪) মানুষ কীভাবে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদ করেছিল?

উত্তর:বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে স্বদেশী ও বয়কট আন্দোলন শুরু হয়। বয়কটের মধ্যে দিয়ে ভারতবর্ষের মানুষ বিদেশি জিনিসপত্র বর্জন করে এবং স্বদেশী পণ্য গ্রহণ করা শুরু করে। বিদেশি পোশাক বর্জন করে চরকা কেটে সুতো বানিয়ে তা থেকে নিজেরা জামাকাপড় বানিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখীবন্ধন উৎসব চালু করেন।


                    নদীতীরের সভ্যতা


১) সভ্যতা কাকে বলে?

উত্তর:পৃথিবীতে সভ্য সম্প্রদায়ের মানুষজন পারস্পরিক বিভিন্ন কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে যে সমাজ গড়ে তোলে, তাকে সভ্যতা বলে।

২) পৃথিবীর সব প্রাচীন সভ্যতা কোথায় গড়ে উঠেছিল?

উত্তর:নদীকে কেন্দ্র করে নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল।

৩) নদীমাতৃক সভ্যতা কাকে বলে?

উত্তর:নদীকে কেন্দ্র করে যে সভ্যতা গড়ে ওঠে, তাকে নদীমাতৃক সভ্যতা বলে। পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলি নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল।

৪) প্রাচীন সভ্যতাগুলি নদীর তীরে গড়ে ওঠার কারণগুলি কি ছিল?

উত্তর:

প্রাচীন সভ্যতাগুলি নদীর তীরে গড়ে ওঠার কারণগুলি হল-

• নদীর তীরের পলিমাটি ছিল চাষবাসের উপযোগী।

•নদী থেকে পানীয় জল ও চাষবাসের জল পাওয়ার সুবিধা ছিল।

•নদীপথে যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্যের সুবিধা ছিল।

৫) একটি নদীমাতৃক সভ্যতার নাম লেখ। 

উত্তর:হরপ্পা সভ্যতা।

৬) নদীয়া ও চব্বিশ পরগনার পূর্বদিকে কোন নদী অবস্থিত? 

উত্তর:ইছামতী নদী।

৭) নদীয়া ও দুই চব্বিশ পরগণার কোন দিকে গঙ্গা নদী অবস্থিত? 

উত্তর:পশ্চিমদিকে।

৮) বিদ্যাধরী নদীর ধারে কোন রাজার দুর্গ ছিল? উত্তর:চন্দ্রকেতু রাজার দুর্গ।

৯) চন্দ্রকেতু রাজার দুর্গকে স্থানীয় লোকজন কি বলত? 

উত্তর:গড় বলত।

১০) নদীয়া জেলায় অবস্থিত বনটির নাম লেখ। উত্তর:বেথুয়াডহরি।

১১) বেথুয়াডহরির বনে কি কি গাছপালা দেখা যায়? 

উত্তর:শাল, সেগুন, শিশু, মেহগনি, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া প্রভৃতি।

১২) বেথুয়াডহরির বনে কি প্রাণী দেখা যায়? উত্তর:হরিণ, কাঠবিড়ালি প্রভৃতি।

১৩) উত্তর চব্বিশ পরগনার কোথায় পুরানো বনখণ্ড আছে? 

উত্তর:পারমাদান বনখন্ড।

১৪) পারমাদান বনখন্ডের বর্তমান নাম কি? উত্তর:বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য।


                     সুন্দরবন

১) সুন্দরবন কোথায় অবস্থিত?

উত্তর:গাঙ্গেয় সমভূমির দক্ষিণ অংশে অবস্থিত।

২) আনুমানিক কত বছর আগে সুন্দরবন গড়ে ওঠে?

উত্তর:আনুমানিক সাত আট হাজার বছর আগে।

৩) সুন্দরবনের বিখ্যাত পশু কি?

উত্তর:

রয়‍্যাল বেঙ্গল টাইগার।

৪) সুন্দরবনের কয়েকটি নদীর নাম লেখ।

উত্তর:মাতলা, বিদ্যাধরী, কালিন্দী, রায়মঙ্গল প্রভৃতি।

৫) সুন্দরবনের এইরূপ নাম হয়েছে কেন?

উত্তর:মূলত সুন্দরী গাছের প্রাধান্য থাকে বলে এই অঞ্চলের নাম সুন্দরবন।

৬) সুন্দরবন অঞ্চলের মাটি কেমন?

উত্তর:এখানকার মাটি লবণাক্ত।

৭) সুন্দরবনের জল নোনতা কেন?

উত্তর:সুন্দরবনের মাটির নিচের জলের স্তরের সঙ্গে সমুদ্রের জলের সরাসরি যোগ আছে। তাই এখানকার জল নোনতা।

৮) সুন্দরবন অঞ্চলে মোট কতগুলি দ্বীপ আছে?

উত্তর:১০২ টি দ্বীপ আছে।

৯) সুন্দরবন অঞ্চলে কয়টি দ্বীপে এখনও ঘন বন আছে?

উত্তর:৪৮ টি দ্বীপে।

১০) সুন্দরবনের নদীগুলি কোথায় গিয়ে পড়েছে?

উত্তর:বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে।

১১) সুন্দরবন অঞ্চলের ভেড়িতে কি কি মাছের চাষ হয়?

উত্তর:গলদা চিংড়ি ও বাগদা চিংড়ি মাছের চাষ হয়।

১২) সুন্দরবন অঞ্চলের গাছগুলিতে কয়টি মূল দেখা যায় ও কি কি?

উত্তর:দুটি মূল দেখা যায়। শ্বাসমূল ও ঠেসমূল।

১৩) শ্বাসমূল কাকে বলে?

উত্তর:লবণাক্ত জলাভূমিতে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় বলে এক বিশেষ প্রকার মূল মাটির উপরে বেরিয়ে আসে, যার সাহায্যে উদ্ভিদ বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে। এই মূলকে শ্বাসমূল বলে।

১৪) ঠেসমূল কাকে বলে?

উত্তর:নরম কাদামাটিতে জোয়ার ভাটার জলপ্রবাহ সহ্য করে গাছ যাতে সোজাভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে তাঁর জন্য যে মূল দেখা যায়, তাকে ঠেসমূল বলে।

১৫) ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ কাকে বলে?

উত্তর:সুন্দরবন অঞ্চলের নোনা জল ও কাদায় এক বিশেষ ধরণের গাছ জন্মায় যাদের দুইপ্রকার মূল দেখা যায়। সেগুলি হল শ্বাসমূল ও ঠেসমূল। এইপ্রকার গাছকে ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ বলে।

১৬) সুন্দরবন অঞ্চলে কি কি উদ্ভিদ জন্মায়?

উত্তর:সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হোগলা, হেতাল প্রভৃতি।

১৭) সুন্দরবন অঞ্চলের কোথায় পাখিরালয় গড়ে উঠেছে?

উত্তর:সজনেখালিতে।

১৮) সুন্দরবন অঞ্চলে কি জীবজন্তু দেখা যায়?

উত্তর:

রয়‍্যাল বেঙ্গল টাইগার, কুমির, বুনো শুয়োর, চিতল হরিণ, মেছো বিড়াল প্রভৃতি।

১৯) সুন্দরবন থেকে মানুষ কি কি সংগ্রহ করে?

উত্তর:জ্বালানি কাঠ, আসবাবপত্র ও নৌকা তৈরির কাঠ, মধু, গোলপাতা, হোগলা পাতা এবং জলাভূমি থেকে মাছ ও কাঁকড়া সংগ্রহ করে।

২০) বর্তমানে সুন্দরবন অঞ্চল ক্রমশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কেন?

উত্তর:

সুন্দরবন অঞ্চল ক্রমশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কারণ-

• ক্রমাগত জোয়ার ভাটার প্রভাব।

• মানুষের অনিয়ন্ত্রিত সম্পদ সংগ্রহের চাহিদা।

• বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমুদ্রের জলতল বৃদ্ধি।

২১) সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের জীবিকা আলোচনা কর।

উত্তর:সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ নানাভাবে জীবিকা নির্বাহ করেন।

• নদীতে মাছ ধরে তা বিক্রি করে।

• বনের কাঠ ও মধু সংগ্রহ করে।

• খাঁড়ি অংশে মাছ চাষ করে।


          কোথায় উঁচু কোথায় নিচু

১) কোনো অঞ্চলের উচ্চতা কীভাবে মাপতে হয়?

উত্তর:সমুদ্রের জলের তল থেকে কোনো অঞ্চলের উচ্চতা মাপতে হয়।

২) পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উঁচু অঞ্চল কোনটি?

উত্তর:পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল।

৩) পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে নিচু জায়গা কোনটি?

উত্তর:সুন্দরবন অঞ্চল।

৪) কোন অঞ্চলকে দক্ষিনবঙ্গ বলে?

উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে দক্ষিণের অঞ্চলকে দক্ষিনবঙ্গ বলে।

৫) রাঢ় অঞ্চলের গড় উচ্চতা কত?

উত্তর:৫০ থেকে ১০০ মিটার।

৬) সুন্দরবন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কত উঁচুতে অবস্থিত?

উত্তর:৪ থেকে ৫ মিটার।

৭) গাঙ্গেয় সমভূমির উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কত?

উত্তর:১০ থেকে ১৫ মিটার।

৮) পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের উচ্চতা কত?

উত্তর:১০০ থেকে ৫০০ মিটার।

৯) সুন্দরবন অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর:

• সুন্দরবন অঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে রয়েছে পলিযুক্ত দোআঁশ মাটি।

•অঞ্চলের মাটিতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে।

•এই অঞ্চলের মাটিতে অক্সিজেনের পরিমাণ খুব কম।


        উত্তরবঙ্গের উঁচু নিচু জায়গা ও নদী

১) উত্তরবঙ্গ বলতে কি বোঝো?

উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলা থেকে উত্তরের অংশটিকে বলে উত্তরবঙ্গ।

২) উত্তরবঙ্গের উত্তর দিকটা কোন পর্বতের অংশ?

উত্তর:হিমালয় পর্বতের অংশ।

৩) দার্জিলিং জেলার উত্তরদিকের উচ্চতা কত?

উত্তর:দেড় হাজার মিটারেরও বেশি।

৪) জলপাইগুড়ি জেলার উত্তরদিকের উচ্চতা কত?

উত্তর:প্রায় এক হাজার মিটার।

৫) উত্তরবঙ্গের কয়েকটি নদীর নাম লেখ। 

উত্তর:তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, মহানন্দা, রায়ডাক প্রভৃতি।

৬) উত্তরবঙ্গের নদীগুলি কোন কোন জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে? 

উত্তর:দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের মধ্যে দিয়ে।

৭) উত্তরবঙ্গের দুটি নদীর নাম লেখ যারা পলি বয়ে আনে? 

উত্তর:কালজানি, রায়ডাক।

৮) কোন কোন জেলা নিয়ে তরাই অঞ্চল গঠিত?

উত্তর:দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার দক্ষিণ অংশ, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার উত্তর অংশ নিয়ে।

৯) তরাই অঞ্চলের মাটি কেমন?

উত্তর:স্যাঁতস্যাঁতে।

১০) তরাই অঞ্চল সৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির ভূমিকা আলোচনা করো।

উত্তর:তরাই অঞ্চল হল দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার দক্ষিণ অংশ, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার উত্তর অংশ। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীগুলি যেমন- তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, মহানন্দা, কালজানি, রায়ডাক প্রভৃতি পাহাড় থেকে প্রচুর পলি, বালি, নুড়ি, পাথর প্রভৃতি এই তরাই অঞ্চলে বয়ে নিয়ে আসে। তাই এখানকার মাটিতে পলি, নুড়ি, পাথরের পরিমাণ বেশি ও মাটি স্যাঁতস্যাঁতে প্রকৃতির।


          পর্বতশ্রেণী ও পর্বতশৃঙ্গ

১) উঁচু পর্বতশৃঙ্গগুলি সাদা হয় কেন?

উত্তর:কারণ সেগুলির উপর বরফ জমে থাকে।

২) দার্জিলিং এ কোন পর্বতশ্রেণী অবস্থান করেছে?

উত্তর:সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণী।

৩) পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ কোনটি?

উত্তর:সান্দাকফু। এর উচ্চতা ৩৬৩০ মিটার।

৪) মহানন্দা নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়?

উত্তর:দার্জিলিং জেলার ডাওহিল এ।

৫) পাহাড়ি নদী কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তর:পাহাড়, পর্বত বা উচ্চভূমিতে বরফগলা জল অথবা বৃষ্টির জলে সৃষ্ট একাধিক ছোট ছোট জলধারা পরস্পরের সঙ্গে মিশে নদীর সৃষ্টি করে।

৬) জলপাইগুড়ি জেলাড় দুটি জঙ্গলের নাম লেখ। উত্তর:জলদাপাড়া ও গোরুমারা।

৭) জলদাপাড়ায় পাওয়া যায় এমন দুটি পশুর নাম লেখ। 

উত্তর:হাতি ও একশৃঙ্গ গণ্ডার।

৮) বক্সা জয়ন্তী পাহাড় কোন জেলায় দেখতে পাওয়া যায়? 

উত্তর:জলপাইগুড়ি জেলায়।

৯) জলপাইগুড়ি জেলার কোথায় শকুন সংরক্ষণ কেন্দ্র আছে?

উত্তর:বক্সার বাঘবনে।

১০) বক্সার বাঘবনে কি কি জন্তু দেখা যায়?

উত্তর:ভালুক, হাতি, হরিণ, অজগর, বাইসন প্রভৃতি জন্তু দেখা যায়। এছাড়া আছে নানারকম পাখি ও নানা রঙের প্রজাপতি।

১১) ব্রিটিশরা কত খ্রিস্টাব্দে বক্সা দুর্গ দখল করে?

উত্তর:১৮৬০ এর দশকে।

১২) বক্সা দুর্গ নামকরণের তাৎপর্য কি?

উত্তর:একসময়য় বক্সার দুর্গটি ভুটানের অন্তর্গত ছিল। কিন্তু ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সেনাপতি কর্নেল ওয়াটসন এই দুর্গটি দখল করে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেন। সেই থেকে এটি বক্সা দুর্গ নামে পরিচিত হয়।

১৩) জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে রেলপথ প্রসারিত হওয়ায় কি ক্ষতি হয়?

উত্তর:বহু পশু রেলপথ পার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায়।


            উত্তরবঙ্গের নানা জায়গা

১) কোন আমের জন্য মালদা জেলা বিখ্যাত? উত্তর:ফজলি আমের জন্য।

২) মালদা জেলার কোনদিকে গঙ্গা নদী অবস্থান করেছে?

উত্তর: দক্ষিণ পশ্চিম দিকে।

৩) মালদা জেলার মাঝখান দিয়ে কোন নদী বয়ে গেছে?

উত্তর: মহানন্দা।

৪) মহানন্দার পূর্বদিকে ভূমির উচ্চতা কত?

উত্তর:প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিটার।

৫) মহানন্দার পশ্চিম দিককে দুইভাগ করেছে কোন নদী?

উত্তর:কালিন্দী নদী।

৬) মহানন্দার দক্ষিণ পশ্চিমে ভূমির উচ্চতা কত?

উত্তর:১৫ থেকে ২০ মিটার।

৭) কুলিক পাখিরালয় কোথায় অবস্থিত?

উত্তর:উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে কুলিক নদীর পাড়ে।


               পশ্চিমবঙ্গের জেলা সদর

১) টাইগার হিল ও কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত কোন জেলায় দেখা যায়? 

উত্তর:দার্জিলিং জেলায়।

২) বক্সা অরণ্যের প্রবেশদ্বার কাকে বলা হয়? উত্তর:আলিপুরদুয়ারকে।

৩) জলপাইগুড়ি কোন দুটি নদীর তীরবর্তী শহর? উত্তর:তিস্তা ও করলা নদীর তীরবর্তী।

৪) আত্রেয়ী নদীর পূর্ব পাশে অবস্থিত শহরটির নাম কি? 

উত্তর:বালুরঘাট।

৫) ইংলিশ বাজার ও বহরমপুর শহর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

উত্তর:

• ইংলিশ বাজার- মহানন্দা নদীর তীরে।

• বহরমপুর- ভাগীরথী নদীর তীরে।

৬) বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?

উত্তর:বীরভূম জেলার সিউরিতে।

৭) সীতাভোগ ও মিহিদানা বিখ্যাত কোন জেলায়? উত্তর:বর্ধমান জেলায়।

৮) কোন জেলা টেরাকোটা শিল্পের জন্য বিখ্যাত?

উত্তর:বাঁকুড়া জেলা।

৯) পুরুলিয়া জেলার আগের নাম কি ছিল?

উত্তর:মানভূম।

১০) মেদিনীপুর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

উত্তর:কংসাবতী নদীর তীরে।

১১) তমলুক শহরের আগের নাম কি ছিল? উত্তর:তাম্রলিপ্ত।

১২) তাম্রলিপ্ত কোন নদীর তীরে অবস্থিত ছিল? উত্তর:রূপনারায়ণ নদীর তীরে।

১৩) কোচবিহার কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

উত্তর:তোর্সা নদীর তীরে।

১৪) পিতলের বাসন তৈরির জন্য বিখ্যাত শহর কোনটি? 

উত্তর:মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর।

১৫) বোটানিক্যাল গার্ডেন কোন জেলায় অবস্থিত? 

উত্তর:হাওড়া জেলায়।


            আরও শহর নগরের কথা

১) উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কোন শহরে অবস্থিত? উত্তর:শিলিগুড়ি শহরে।

২) আসানসোল শহরের পাশ দিয়ে কোন নদী গেছে? 

উত্তর:বরাকর নদী।

৩) নদীয়া জেলার কোন শহর রাসমেলার জন্য বিখ্যাত?

উত্তর: শান্তিপুর।

৪) কোন শহরে চিংড়িখালি দুর্গের ভগ্নাবশেষ আছে?

উত্তর:দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ডায়মন্ডহারবার শহরে।

৫) আরামবাগ ও কাটোয়া শহর দুটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

উত্তর:

• আরামবাগ- দ্বারকেশ্বর।

কাটোয়া- গঙ্গা।

৬) বর্ধমান জেলার কোন শহরে রেলইঞ্জিন তৈরির কারখানা আছে? 

উত্তর:চিত্তরঞ্জন শহরে।

৭) নবদ্বীপ শহরটি কোন দুটি নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত? 

উত্তর:ভাগীরথী ও জলঙ্গি নদীর মিলনস্থলে।

৮) কোন শহরে আই আই টি শিক্ষাকেন্দ্র অবস্থিত?

উত্তর:খড়গপুর শহরে।

৯) হুগলী জেলার কোন শহরে দুধ সংরক্ষণ কেন্দ্র আছে?

উত্তর:ডানকুনি শহরে।

১০) বোলপুর কোথায় অবস্থিত এবং কিসের জন্য বিখ্যাত?

উত্তর:বীরভূম জেলায় অবস্থিত। বোলপুরের শান্তিনিকেতন একটি বিখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্র। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

আরো পড়ুন:

Class 5 poribesh chapter 2


Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.