Class - 6
ইতিহাস
প্রথম অধ্যায়-ইতিহাসের ধারণা
ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের প্রথম অধ্যায় - ইতিহাসের ধারণা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর। এর মধ্যে থেকে পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। গত সাত বছরের ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্নপত্র পর্যবেক্ষণ করে লেখা প্রশ্ন উত্তর।West Bengal Board Class 6 History lesson 1 important questions answers suggestions.
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর short type answer
১ ও ২ নম্বর মার্কস
১) ইতিহাস কাদের কথা বলে?
উত্তর:ইতিহাস মানুষের কথা বলে।
২) পুরানো দিনের বেশিরভাগ সভ্যতা কোথায় গড়ে উঠেছিল?
উত্তর:নদীর ধারে।
৩) নদীমাতৃক সভ্যতা কাকে বলে?
উত্তর:নদীর উপর নির্ভর করে যে সভ্যতাগুলি তৈরি হয়েছিল, তাকে নদীমাতৃক সভ্যতা বলে।
৪) মাতৃক কথার অর্থ কি?
উত্তর:মায়ের মতো।
৫) মরুভূমির লোকেরা সাধারণত কীভাবে যাতায়াত করেন?
উত্তর: উটে চড়ে।
৬) সমতল অঞ্চলের লোকেরা ভাত বেশি খান কেন?
উত্তর:কারণ সমতল অঞ্চলে ধানের চাষ বেশি হয়।
৭) রাজস্থানের লোকেরা সাধারণত কি বেশি খান? উত্তর:রুটি।
৮) ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরদিকে কি প্রকার অঞ্চল ছিল?
উত্তর:পাহাড়ি অঞ্চল।
৯) সিন্ধু ও গঙ্গা নদীর দুপাশে কি প্রকার অঞ্চল ছিল?
উত্তর:সমভূমি অঞ্চল।
১০) ভারতীয় উপমহাদেশকে একসময় কি বলা হত?
উত্তর:ভারতবর্ষ।
১১) কোন জনগোষ্ঠীর নাম অনুসারে ভারতবর্ষের নামকরণ করা হয় বলে অনেকের ধারণা?
উত্তর:ভরত জনগোষ্ঠীর নাম অনুসারে।
১২) কোন পর্বত ভারতবর্ষের উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে ভাগ করেছিল?
উত্তর:বিন্ধ্য পর্বত।
১৩) ভারতের উত্তর অংশকে কি বলা হত এবং কেন?
উত্তর:আর্যাবর্ত বলা হত। কারণ সাধারণত আর্যরাই ভারতের উত্তর অংশে বসবাস করত।
১৪) বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণ ভাগকে কি বলা হত?
উত্তর:দাক্ষিণাত্য।
১৫) দাক্ষিণাত্য অঞ্চলটি কতদূর বিস্তৃত ছিল?
উত্তর:বিন্ধ্য পর্বত থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত।
১৬) দাক্ষিণাত্যে কোন উপজাতির বসবাস ছিল?
উত্তর:দ্রাবিড় উপজাতির।
১৭) দাক্ষিণাত্য অঞ্চলের ভাষাকে কি বলা হত?
উত্তর:দ্রাবিড় ভাষা।
১৮) কাবেরি নদীর দক্ষিণ অংশকে কোন দেশ বলা হয়?
উত্তর:দ্রাবিড় দেশ।
১৯) ভারতে প্রথম কবে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলে?
উত্তর:১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ এপ্রিল।
২০) প্রাক ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলা হয়?
উত্তর:একসময় মানুষ লিখতে পারত না। সেই সময়ের কথা আমাদের অনুমান করে নিতে হয়। এই সময়কেই অনেকে প্রাক ঐতিহাসিক যুগ বলে।
২১) প্রায় ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলে?
উত্তর:একসময় মানুষ লিখতে শিখেছিল। কিন্তু সেই সময়ের সব লেখা আজও পড়া যায়নি। ইতিহাসের এই সময়টিকেই বলা হয় প্রায় ঐতিহাসিক যুগ।
২২) কোন সম্রাটের সিংহাসনে আরোহণের সময় থেকে শকাব্দ গণনা শুরু হয়?
উত্তর:কুষাণ সম্রাট কনিস্কের।
২৩) কনিষ্ক কত খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে বসেন?
উত্তর:৭৮ খ্রিস্টাব্দে।
২৪) গুপ্তাব্দ চালু করেন কে?
উত্তর:গুপ্ত সম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্ত।
২৫) কার রাজা হওয়ার সময় থেকে হর্ষাব্দ চালু হয়?
উত্তর:হর্ষবর্ধনের রাজা হওয়ার সময় থেকে।
২৬) শিলালেখ কাকে বলা হয়?
উত্তর:পাথরের গায়ে খোদাই করা লেখাকে শিলালেখ বলা হয়।
২৭) হর্ষবর্ধন কত খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন?
উত্তর:৬০৬ খ্রিস্টাব্দে।
২৮) বিভিন্ন শাসকদের গুণগান লেখ হিসাবে খোদাই করা হলে তাকে কি বলা হত?
উত্তর:প্রশস্তি।
২৯) প্রশস্তি শব্দের অর্থ কি?
উত্তর:গুণগান করা।
৩০) হর্ষচরিত এর রচয়িতা কে?
উত্তর:বানভট্ট।
৩১) এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে কোন সম্রাটের কথা জানা যায়?
উত্তর:গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের কথা।
৩২) ভাস্কর্য কি?
উত্তর:পাথর, ধাতু বা পোড়ামাটির উপর খোদাই করে বিভিন্ন দেবদেবী, মানুষ, পশুর মূর্তি প্রভৃতি বানানো হত। এগুলোকেই বলা হয় ভাস্কর্য।
৩৩) ভারতের দুটি গুহার নাম লেখো যেখানে ভাস্কর্যের নিদর্শন পাওয়া গেছে?
উত্তর:অজন্তা ও ভীমবেটকা গুহায়।
৩৪) মাটির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া উপাদানগুলি কারা খুঁজে বের করেন?
উত্তর: প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
৩৫) পুরনো দিনের নানা প্রত্নবস্তু কোথায় যত্ন করে রাখা থাকে?
উত্তর:জাদুঘরে।
৩৬) ধর্মভিত্তিক সাহিত্যের মধ্যে প্রধান কি? উত্তর:বৈদিক সাহিত্য।
৩৭ )জাদুঘরে কি কি থাকে?
উত্তর:মাটির নীচ থেকে পাওয়া পুরোনো দিনের বিভিন্ন প্রত্নবস্তু জাদুঘরে যত্ন করে রাখা থাকে। এছাড়াও হারিয়ে যাওয়া জন্তুদের হাড়, রাজা রানীদের পোশাক, অস্ত্রশস্ত্র, নানারকম মূর্তি, ছবি, বইপত্র প্রভৃতি থাকে।
৩৮) মুদ্রা কীভাবে ইতিহাস নির্মাণে সাহায্য করে?
উত্তর:প্রাচীন ভারতের ইতিহাস নির্মাণে মুদ্রা বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। মুদ্রায় বিভিন্ন শাসকের নাম মূর্তি প্রভৃতি খোদাই করা থাকে। এছাড়াও অব্দও পাওয়া যায় মুদ্রায়। এর ফলে মুদ্রা থেকে বিভিন্ন শাসকদের ইতিহাস জানা যায়।
৩৯) প্রাচীন ভারতের ইতিহাস জানার জন্য কোন তিন ধরণের বিদেশি বিবরণ জরুরি?
উত্তর:গ্রিক, রোমান ও চিনা দূত ও পর্যটকদের বিবরণ।
৪০) সাহিত্য উপাদানের সমস্যাগুলি কি কি?
উত্তর:বিদেশি সাহিত্য উপাদানের বেশ কিছু সমস্যা আছে। যেমন-
• বিদেশীরা ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতি বুঝতেন না। ফলে অনেক কিছুর মানে বুঝতে তাদের অসুবিধা হয়েছিল।
• কাব্য বা নাটকগুলি থেকে সমাজের নিচুতলার মানুষদের কথা বিশেষ জানা যায় না।
• বিভিন্ন দেশীয় সাহিত্যে পক্ষপাতিত্বের উদাহরণ আছে।
•অধিকাংশ সাহিত্যের বর্ণনা মনগড়া।