নবম শ্রেণী ইতিহাস অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন 2024। Class 9 history West Bengal Board

 নবম শ্রেণী ইতিহাস অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন 

Class 9 history question answer and suggestion West Bengal board।wbbse. নবম শ্রেণীর সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের ভালো নাম্বার পাওয়ার জন্য ক্লাস নাইন ইতিহাস অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর করা প্রয়োজনীয়। সেজন্য class 9 history সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর নিখুঁতভাবে খুজে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে নবম শ্রেণী সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের খুবই সুবিধা হয় ও ভালো নাম্বার পেয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়। নিম্নলিখিত ছক বা টেবিলে প্রত্যেকটি অধ্যায়ের পাশে ক্লিক করুন জায়গায় আপনারা ক্লিক করে প্রত্যেকটি অধ্যায়ের অনুশীলনী প্রস্তুত করে নিন।

ক্লাস নাইন ইতিহাস অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর


নবম শ্রেণী ইতিহাস অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

                          অধ্যায়

    লিঙ্ক

প্রথম অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী

 প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

ক্লিক করুন

দ্বিতীয় অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী 

প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

ক্লিক করুন

তৃতীয় অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী 

প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

ক্লিক করুন

চতুর্থ অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী 

প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

ক্লিক করুন

পঞ্চম অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী 

প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

ক্লিক করুন

ষষ্ঠ অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী 

প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

ক্লিক করুন

সপ্তম অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী 

প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

ক্লিক করুন


নবম শ্রেণী ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন

রক্ত ও লৌহ নীতি কী ? এই নীতির সাহায্যে বিসমার্ক জার্মানিকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন?                          ৩+৫

উত্তর:

রক্ত ও লৌহ নীতি : প্রাশিয়া রাজ প্রথম উইলিয়ামের মত বিসমার্কও সামরিক শক্তিকে বিশ্বাস করতেন। তিনি ছিলেন বিচক্ষণ দুরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ ও যোদ্ধা। তিনি উপলব্ধি করেন যে, জার্মানির ঐক্যবদ্ধ করতে  হলে সামরিক শক্তির প্রয়োজন। প্রাশিয়ার আইন পরিষদে একটি বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন যে, গণতান্ত্রিক উপায়ে কোন বৃহৎ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, একমাত্র সামরিক শক্তির সাহায্যেই তা সম্ভব। তবে 'রক্ত ও লৌহ নীতি' বা জঙ্গিবাদী নীতি কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে গিয়ে জাতীয় প্রতিনিধি সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ উদারপন্থীদের সঙ্গে মতবিরোধ শুরু হয়। কিন্তু নিজ সংকল্পে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অটুট থেকে প্রাশিয়ার সামরিক সংগঠনের প্রতি মনোনিবেশ করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় প্রাশিয়ার শাসনতন্ত্র একটি স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হয়। ভনরুন ও মল্টস্কের সাহায্যে প্রাশিয়ার রণশক্তি সুদৃঢ় হয়। সেই সময় বৈদেশিক ক্ষেত্রে ও পরিস্থিতি প্রাশিয়ার অনুকূল ছিল। এরপর বিসমার্ক ‘রক্ত ও লৌহ নীতি’ কার্যকর করতে অগ্রসর হন। প্রকৃতপক্ষে সামরিক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই জার্মানির ঐক্যবদ্ধ সুসম্পন্ন হয়েছিল এবং এর জন্য বিসমার্ককে তিনটি যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়।

রক্ত ও লৌহ নীতির সাহায্যে বিসমার্ক কর্তৃক জার্মানির ঐক্যসাধন :

জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করতে বিসমার্ক ১৮৬৪-৭০ খ্রিস্টাব্দ সময়কালপূর্বে তাঁর রক্ত ও লৌহ নীতির প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন। এই প্রয়োগ ঘটাতে তাঁকে যথাক্রমে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, অস্ট্রো-প্রাশিয় যুদ্ধ এবং ফ্রাঙ্কো-প্রাশিয় যুদ্ধ করতে হয়।

জার্মানির ঐক্য আন্দোলনে বিসমার্কের ভূমিকা :

বিসমার্কের আবির্ভাব: জার্মানির সম্রাট চতুর্থ ফ্রেডারিক উইলিয়ামের মৃত্যু হলে (১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ) তাঁর ভাই প্রথম উইলিয়ম প্রাশিয়ার সিংহাসনে বসেন। সিংহাসনে বসেই তিনি স্পষ্ট উপলব্ধি করেন যে, জার্মানির ওপর থেকে অস্ট্রিয়ার প্রাধান্য মুক্ত করতে গেলে অবশ্যই প্রাশিয়াকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। প্রথম উইলিয়মের পর ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে  বিসমার্ক নামে এক  বিচক্ষণ রাজনীতিবিদের আবির্ভাব ও প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে জার্মানির ঐক্য আন্দোলনে এক নবযুগের সূচনা হয় ।

 বিসমার্কের মতাদর্শ ও নীতিঃ বিসমার্কের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায় যে, (১) গণতন্ত্র বা কোনোরকম উদারনৈতিক ধ্যানধারণার প্রতি তাঁর বিশ্বাস ছিল না। (২)তিনি রাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। রাজতন্ত্রের নেতৃত্বেই জার্মানির ঐক্য সাধন সম্ভব। (৩) তিনি এই সত্য উপলব্ধি করেন যে, কেবল সামরিক শক্তির দ্বারাই জার্মানির ঐক্য সাধন সম্ভব অন্য কোনো উপায়ে নয়। তাই তিনি জার্মান সৈন্যেদল গুণগত ও পরিমাণগত উন্নতি বিধানে  উদ্যোগী হন। ১৮৬৪ থেকে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ –এই ছয় বছরের মধ্যে তিনটি উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের দ্বারা তিনি জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করেন। এই তিনটি যুদ্ধ হল - 

(১) ডেনমার্কের সঙ্গে যুদ্ধ (১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দ), 

(২) অস্ট্রো-প্রাশিয়া যুদ্ধ (১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দ), 

(৩) ফ্রাঙ্কো-প্রাশিয়া যুদ্ধ (১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ)।

 ডেনমার্কের সঙ্গে যুদ্ধ : জার্মানির ঐক্যবদ্ধ করতে বিসমার্কের প্রথম সুযোগ আসে শ্লেজউইগ- হলস্টাইন সমস্যাকে কেন্দ্র করে ।

 শ্লেজউইগ ও হলস্টেন ডেনমার্কের অন্তর্ভুক্ত : শ্লেজউইগ ও হলস্টাইন ডাচি দুটি জার্মানির রাজ্যসীমার অন্তর্ভুক্ত দেশ হলেও, আইনত ভাবে দুটি ছিল ডেনমার্কের অধীনে। ডেনমার্কের অধিপতি নব খ্রিস্টিয়ান স্থান দুটিকে নিজ রাজ্য সীমার অন্তর্ভুক্ত করেত চাইলে বিসমার্ক অস্ট্রিয়ার সঙ্গে  মিত্রতা স্থাপন করে হয়ে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন (১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দ)। ডেনমার্ক পরাজিত হয় এবং ভিয়েনা চুক্তি দ্বারা শ্লেজউইগ ও হলস্টেন এর ওপর থেকে সমস্ত দাবি ত্যাগ করে, কিন্তু এই স্থান দুটির ওপর কর্তৃত্ব নিয়ে প্রাশিয়া ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে বিরোধ বাধে।

গ্যাস্টিনের সন্ধি (১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দ) : শেষ পর্যন্ত গ্যাস্টিনের সন্ধি দ্বারা (১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দ) প্রাশিয়া শ্লেজউইগ এবং অস্ট্রিয়া হলস্টেন দখল করে। তবে গ্যাস্টিনের সন্ধি ছিল একটি যুদ্ধবিরতি মাত্র। গ্যাস্টিনের সন্ধি বিসমার্কের কূটনীতির অপূর্ব সাফল্যের পরিচায়ক। এর দ্বারা তিনি একদিকে অস্ট্রিয়া সমর্থিত অগসস্টেনবার্গের দাবী উড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন, অন্যদিকে হলস্টাইন প্রাশিয়ার দ্বারা বেষ্টিত অস্ট্রিয়ার স্বার্থবিরোধী কাজের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন।

ফ্রাঙ্কো-প্রাশিয়া যুদ্ধ : স্যাডোয়ার যুদ্ধের ফলে উত্তর জার্মানি ঐক্যবদ্ধ হলেও, তখনও পর্যন্ত দক্ষিণ জার্মানি ফরাসি প্রভাবাধীন থাকায় ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। স্যাডোয়ার যুদ্ধের ফলে ফ্রান্সের পাশে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে প্রাশিয়ার আবির্ভাব ফরাসিবাসী মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেনি। এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকার জন্য বিয়ারিৎসের গোপন চুক্তির মাধ্যমে বিসমার্ক তৃতীয় নেপোলিয়নকে যেসব স্থান দেওয়ার কথা দিয়েছিলেন, ফ্রান্স তা পায়নি। এমতাবস্থায় ফরাসিবাসীরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়। এবং প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করে।

 ফরাসি বিপর্যয় : উপযুক্ত সামরিক প্রস্তুতি না নিয়েই একক ভাবে ফ্রান্সকে যুদ্ধ করতে হয়। এমনকি কেন্দ্রীয় সমস্যাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ জার্মানির অধিবাসীরা জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ফ্রান্স বিরোধী হয়ে পড়ে। ফলে বিভিন্ন রণক্ষেত্রে ফরাসিদের বিপর্যয় ঘটে। অবশেষে সেডানের রণক্ষেত্রে ফ্রান্সের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে। স্বয়ং তৃতীয় নেপোলিয়ন বন্দি হলেন। দক্ষিণ জার্মান রাষ্ট্রগুলিকে অন্তর্ভূক্ত করে বিসমার্ক ঐক্যবদ্ধ জার্মান সাম্রাজ্য ঘোষণা করলেন। এই জার্মান ঐক্য অবশ্যই ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দের ঐক্যের স্বপ্নকে সফল করতে পারেনি, কেননা জার্মান অস্ট্রিয়া এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিল না।

 ফ্রাঙ্কফোর্টের সন্ধি: সেডানের বিপর্যয়ের পর ফ্রান্সে দ্বিতীয় সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে এবং প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। প্রজাতান্ত্রিক সরকার জার্মানির বিরুদ্ধে কছুদিন যুদ্ধ চালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ভার্সাই- -এর প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরে বাধ্য হয়। অবশেষে বিসমার্ক ফ্রান্সের ওপর প্রতিশোধমূলক সন্ধি চাপিয়ে দেন। এই সন্ধিতে স্থির হয় : (১) অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান আলসাস ও লোবেন ফ্রান্স জার্মানিকে সমর্পণ করবে। (২) যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ফ্রান্স জার্মানিকে প্রচুর অর্থ দিতে বাধ্য থাকবে। (৩) যতদিন পর্যন্ত না এই ক্ষতিপূরণ পরিশোধ হচ্ছে, ততদিন ফ্রান্সে জার্মানির সৈন্যবাহিনী মোতায়েন থাকবে।

—------------------------------------------------------

প্রথম অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

দ্বিতীয় অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

তৃতীয় অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

চতুর্থ অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

পঞ্চম অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

ষষ্ঠ অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন

সপ্তম অধ্যায় ইতিহাস অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর ও সাজেশন


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.