Class 9 এর ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য গৌতম মল্লিক এর লেখা প্রাক মাধ্যমিক আধুনিক ভূগোল ও পরিবেশ বইয়ের অষ্টম অধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ Chapter 8 : WEST BENGAL অনুশীলনীর বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ) ,অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক (VSA) প্রশ্ন সত্য বা মিথ্যা নিরুপণ ,শূন্যস্থান পূরণ , স্তম্ভ মেলাও, নীচের বিবৃতির সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্ণয় করো এই সমস্ত সমাধান বইটি ভালো করে খুঁটিয়ে পড়ে নিচে করে দেয়া হলো।
নবম শ্রেণী ভূগোল অষ্টম অধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ
১. বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো:
[প্রতিটি প্রশ্নের মান-১]
১.১ বর্তমানে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে মোট অঙ্গরাজ্য আছে—
(ক) ২৮টি
(খ) ২৯টি
(গ) ৩০টি
(ঘ) ৩১টি।
উত্তর:(ক) ২৮টি
১.২ ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হল—
(ক) আন্দামান ও নিকোবর
(খ) অরুণাচল প্রদেশ
(গ) মিজোরাম
(ঘ) মেঘালয়।
উত্তর:(ক) আন্দামান ও নিকোবর
১.৩ পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে—
(ক) কর্কটক্রান্তি রেখা
(খ) মকরক্রান্তি রেখা
(গ) নিরক্ষরেখা
(ঘ) মূল মধ্যরেখা।
উত্তর:(ক) কর্কটক্রান্তি রেখা
১.৪ পশ্চিমবঙ্গের পূর্বসীমানায় আছে—
(ক) ঝাড়খণ্ড
(খ) ওড়িশা
(গ) বিহার
(ঘ) অসম।
উত্তর:(ঘ) অসম।
১.৫ পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় আছে স্বাধীন দেশ—
(ক) ২টি
(খ) ৩টি
(গ) ৪টি
(ঘ) ৫টি।
উত্তর:(খ) ৩টি
১.৬ ভুটানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নাম—
(ক) মাউন্ট এভারেস্ট
(খ) ক্রেওক্রাডং
(গ) কাঞ্চনজঙ্ঘা
(ঘ)কুলাকাংড়ি।
উত্তর:(ঘ)কুলাকাংড়ি।
১.৭ বাংলাদেশের একটি প্রধান সম্পদ—
(ক) প্রাকৃতিক গ্যাস
(খ) আকরিক লোহা
(গ) কফি
(ঘ) খনিজ তেল।
উত্তর:(ক) প্রাকৃতিক গ্যাস
১.৮ ঝাড়খণ্ডের রাজধানীর নাম—
(ক) জামসেদপুর
(খ) রাঁচি
(গ) পাটনা
(ঘ) বোকারো।
উত্তর:(খ) রাঁচি
১.৯ অসমের একটি প্রধান কৃষিজ ফসল—
(ক) গম
(খ) রবার
(গ) কফি
(ঘ) চা।
উত্তর:(ঘ) চা।
১.১০ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নাম—
(ক) ফালুট
(খ) সান্দাকফু
(গ) সবরগ্রাম
(ঘ) টাইগার হিল।
উত্তর:(খ) সান্দাকফু
১.১১ রাঢ় সমভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত একটি নদীর নাম—
(ক) জলঙ্গি
(খ)ইচ্ছামতী
(গ) মহানন্দা
(ঘ) দামোদর।
উত্তর:(ঘ) দামোদর।
১.১২ একটি বৃহদায়তন লোহা-ইস্পাত কারখানা আছে—
(ক) হলদিয়ায়
(খ) কলকাতায়
(গ) শিলিগুড়িতে
(ঘ) দুর্গাপুরে।
উত্তর:(ঘ) দুর্গাপুরে।
বিভাগ—খ
২.১ নিম্নলিখিত বাক্যগুলি শুদ্ধ হলে শু’ এবং অশুদ্ধ হলে 'অ' লেখো:
[প্রতিটি প্রশ্নের মান-১]
২.১.১ বর্তমানে ভারতে মোট ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আছে।
উত্তর:অশুদ্ধ
২১.২ পশ্চিমবঙ্গের আয়তন ভারতের মোট আয়তনের মাত্র ৩ শতাংশেরও কম হলেও এখানে ভারতের প্রায় ৮ শতাংশ মানুষ সরাস করে।
উত্তর:শুদ্ধ
২.১.৩ নেপালের দীর্ঘতম নদীর নাম মানস।
উত্তর:অশুদ্ধ
২.১.৪ ভুটানের প্রধান অর্থকরী ফসল চা।
উত্তর:অশুদ্ধ
২.১.৫ বাংলাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ভূমি তরঙ্গায়িত।
উত্তর:অশুদ্ধ
২.১.৬ ঝাড়খণ্ড ভারতের সর্বাধিক খনিজ-সমৃদ্ধ রাজ্য।
উত্তর:শুদ্ধ
২.১.৭ ওড়িশার রাজধানীর নাম কটক।
উত্তর:
২.১.৮ সিকিমের রাজধানীর নাম থিম্পু।
উত্তর:অশুদ্ধ
২.১.৯ ত্রিপুরার প্রধান নদীর নাম মনু।
উত্তর:শুদ্ধ
২.১.১০ তিস্তার আর এক নাম ‘ত্রাসের নদী’।
উত্তর:শুদ্ধ
২.১.১১ কুমারী নদী রূপনারায়ণের উপনদী।
উত্তর:অশুদ্ধ
২.১.১২ সুন্দরবন গঙ্গা বদ্বীপের পরিণত অংশ।
উত্তর:শুদ্ধ
২.১.১৩ বদ্বীপ সমভূমি অঞ্চলের একটি উল্লেখযোগ্য নদীর নাম অজয়।
উত্তর:অশুদ্ধ
২.১.১৪ পশ্চিমবঙ্গের প্রধান কৃষিজ ফসল চা।
উত্তর:অশুদ্ধ
২.১.১৫ পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে তুলো উৎপাদিত হয় বলে এই রাজ্যে কার্পাস বয়ন শিল্পের বিশেষ উন্নতি হয়েছে।
উত্তর:অশুদ্ধ
২.২. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:
[প্রতিটি প্রশ্নের মান ১]
২.২.১ পশ্চিমবঙ্গের ________ জেলার ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা বিস্তৃত হয়েছে।
উত্তর: চারটি ( পুরুলিয়া বাঁকুড়া পশ্চিম বর্ধমান ও নদীয়া)
২.২.২ নেপালের রাজধানীর নাম _______।
উত্তর: কাঠমান্ডু
২.২.৩ বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদীর নাম _______।
উত্তর: পদ্মা-মেঘনা
২.২.৪ বিহারের রাজধানীর নাম _________।
উত্তর: পাটনা
২.২.৫ অসমের রাজধানীর নাম___________।
উত্তর: দিসপুর
২.২.৬ সিকিমের উল্লেখযোগ্য নদী________।
উত্তর: তিস্তা
২.২.৭ উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে ________ নামে একটি গিরিপথ আছে।
উত্তর: বক্সা দুয়ার
২.২.৮ অযোধ্যা পাহাড়ের সমগ্র মালভূমি অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ________।
উত্তর: গোর্গাবুরু
২.২.৯ সুন্দরবন অঞ্চলের অধিকাংশ নদী ______ জলে পুষ্ট।
উত্তর: জোয়ারের
২.২.১০ উত্তরবঙ্গের নদীগুলি_______ জলে পুষ্ট।
উত্তর: বরফ গলা
২.২.১১ জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পশ্চিমবঙ্গে_________ ঋতু।
উত্তর: বর্ষাকাল
২.২.১২ সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বনভূমির অধিকাংশ উদ্ভিদের শ্বাস-প্রশ্বাস চালানোর জন্য থাকে _______ মূল।
উত্তর: শ্বাসমূল
২.২.১৩ পশ্চিমবঙ্গের প্রধান কৃষিজ ফসল ______।
উত্তর: ধান
২.২.১৪ পশ্চিমবঙ্গের ________ এ একটি বৃহদায়তন সংকর ইস্পাত কারখানা আছে।
উত্তর: দুর্গাপুর
২.৩ স্তম্ভ মেলাও : [প্রতিটি প্রশ্নের মান ১]
স্তম্ভ-'ক' 'স্তম্ভ 'খ'
২.৩.১ উচ্চতা ৮৫৯৮ মি. (১) সান্দাকফু
২.৩.২ উচ্চতা ৭৫৫৪ মি. (২) গোর্গাবুরু
২.৩.৩ উচ্চতা ১২৩০ মি. (৩) বেটলিং সিব
২.৩.৪ উচ্চতা ৬৭৭ মি. (৪) ফালুট
২.৩.৫ উচ্চতা ৩৬৩০ মি. (৫) ঋষিলা
২.৩.৬ উচ্চতা ৮৮৪৮ মি. (৬) কুলাকাংড়ি
২.৩.৭ উচ্চতা ১৩৯ মি. (৭) সবরগ্রাম
২.৩.৮ উচ্চতা ৩৫৯৬ মি. (৮) কাঞ্চনজঙ্ঘা
২.৩.৯ উচ্চতা ৩১২১ মি. (৯) মাউন্ট এভারেস্ট
২.৩.১০ উচ্চতা ৩৫৪৩ মি. (১০) ক্রেওক্রাডং
উত্তর:
স্তম্ভ-'ক' 'স্তম্ভ 'খ'
২.৩.১ উচ্চতা ৮৫৯৮ মি. (৮) কাঞ্চনজঙ্ঘা
২.৩.২ উচ্চতা ৭৫৫৪ মি. (৬) কুলাকাংড়ি
২.৩.৩ উচ্চতা ১২৩০ মি. (১০) ক্রেওক্রাডং
২.৩.৪ উচ্চতা ৬৭৭ মি. (২) গোর্গাবুরু
২.৩.৫ উচ্চতা ৩৬৩০ মি. (১) সান্দাকফু
২.৩.৬ উচ্চতা ৮৮৪৮ মি. (৯) মাউন্ট এভারেস্ট
২.৩.৭ উচ্চতা ৯৩৯ মি. (৩) বেটলিং সিব
২.৩.৮ উচ্চতা ৩৫৯৬ মি. (৪) ফালুট
২.৩.৯ উচ্চতা ৩১২১ মি. (৫) ঋষিলা
২.৩.১০ উচ্চতা ৩৫৪৩ মি. (৭) সবরগ্রাম
২.৪ দু-এক কথায় উত্তর দাও : [প্রতিটি প্রশ্নের মান ১]
২.৪.১ পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদীর নাম কী?
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদীর নাম গঙ্গা ।
২.৪.২ পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব সীমানায় অবস্থিত স্বাধীন দেশটির নাম কী?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব সীমানায় অবস্থিত স্বাধীন দেশটির নাম হলো বাংলাদেশ।
২.৪.৩ পোখরা উপত্যকা কোন্ দেশে অবস্থিত?
উত্তর:পোখরা উপত্যকা নেপালে অবস্থিত।
২.৪.৪ বাংলাদেশের রাজধানীর নাম কী?
উত্তর:বাংলাদেশের রাজধানীর নাম হল ঢাকা।
২.৪.৫ ওড়িশা রাজ্যের প্রধান নদীটির নাম কী?
উত্তর:ওড়িশা রাজ্যের প্রধান নদীটির নাম হল মহানদী।
২.৪.৬ অসমের একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের নাম করো।
উত্তর:অসমের একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের নাম হল খনিজ তেল।
২.৪.৭ ত্রিপুরার রাজধানীর নাম কী?
উত্তর:ত্রিপুরার রাজধানীর নাম হল আগরতলা।
২.৪.৮ রেনিগাঙ্গো শৃঙ্গটি পশ্চিমবঙ্গের কোন্ জেলায় অবস্থিত?
উত্তর: রেনিগাঙ্গো শৃঙ্গটি পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলায় অবস্থিত ।
২.৪.৯ পুরুলিয়া জেলার মালভূমি কোন্ দিক থেকে কোন্ দিকে ঢালু?
উত্তর:পুরুলিয়া জেলার মালভূমি পশ্চিম থেকে পূর্ব ঢালু।
২.৪.১০ দ্বারকেশ্বর ও শিলাই বা শিলাবতী নদীর মিলিত ধারার নাম কী?
উত্তর:দ্বারকেশ্বর ও শিলাই বা শিলাবতী নদীর মিলিত ধারার নাম রূপনারায়ণ।
২.৪.১১ তরাই অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত একটি নদীর নাম করো।
উত্তর:তরাই অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত একটি নদীর নাম হল তিস্তা ,তোর্সা ,জলঢাকা।
২.৪.১২ পশ্চিমবঙ্গের একটি বরফগলা জলে পুষ্ট নদীর নাম করো।
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের একটি বরফগলা জলে পুষ্ট নদীর নাম হল তিস্তা।
২.৪.১৩ পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত একটি বৃষ্টির জলে পুষ্ট নদীর নাম করো।
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত একটি বৃষ্টির জলে পুষ্ট নদীর নাম হল দামোদর।
২.৪.১৪ পশ্চিমবঙ্গের মোট অভ্যন্তরীণ জলসম্পদের পরিমাণ কত?
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের মোট অভ্যন্তরীণ জলসম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২৯ ঘন কিলোমিটার
২.৪.১৫ কোন ঋতুতে পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়?
উত্তর: শীতকালে পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়।
২.৪.১৬ পশ্চিমবঙ্গের কোন্ অঞ্চলে প্রধানত আৰ্দ্ৰ পর্ণমোচী গাছ জন্মায়?
উত্তর: উত্তরবঙ্গের তরাই অঞ্চলে প্রধানত আৰ্দ্ৰ পর্ণমোচী গাছ জন্মায়।
২.৪.১৭ পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসলের নাম করো।
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসলের নাম হল পাট।
২.৪.১৮ পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রধান কেন্দ্রটির নাম কী?
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রধান কেন্দ্রটির নাম হলো কলকাতা।
বিভাগ-গ
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর সংক্ষেপে লেখো :
[প্রতিটি প্রশ্নের মান ১]
৩.১ অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান উল্লেখ করো।
উত্তর:অক্ষাংশ অনুসারে দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটি দক্ষিণে ২১°৩০' (একুশ ডিগ্রি তিরিশ মিনিট) উত্তর অক্ষাংশ থেকে উত্তরে ২৭°১′ উত্তর অক্ষাংশ এবং পশ্চিমে ৮৫°৫০ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে পূর্বে ৮৯°৫৩ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখার মধ্যে অবস্থিত।
অথবা,
পশ্চিমবঙ্গের চারপাশের সীমানার পরিচয় দাও।
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের তিনদিকের (পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তরে) সীমানায় আছে স্থলভাগ এবং মাত্র একদিকে (দক্ষিণে) আছে জলভাগ। তিনদিকে যে স্থলভাগ আছে তার মধ্যে উত্তরে আছে সিকিম ও ভুটান, পূর্বে বাংলাদেশ, উত্তর-পূর্বে অসম, পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড, বিহার ও ওড়িশা এবং উত্তর-পশ্চিমে নেপাল। পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র দক্ষিণ-সীমায় যে বিস্তৃত জলভাগ আছে তার নাম বঙ্গোপসাগর।
৩.২ নেপালের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বতশৃঙ্গ এবং একটি পার্বত্য উপত্যকার নাম করো।
উত্তর:নেপালের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বতশৃঙ্গ —মাউন্ট এভারেস্ট (৮,৮৪৮ মি)
নেপালের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্বত্য উপত্যকার নাম কাঠমান্ডু উপত্যকা।
অথবা, পশ্চিমবঙ্গে কী কী ধরনের প্রশাসনিক বিভাগ আছে?
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গে মোট ২৩টি জেলা আছে।
এই জেলাগুলিকে পাঁচটি বিভাগে (Division) ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল জলপাইগুড়ি বিভাগ, মালদহ বিভাগ, বর্ধমান বিভাগ, মেদিনীপুর বিভাগ এবং প্রেসিডেন্সি বিভাগ।
৩.৩ দার্জিলিং জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বতশৃঙ্গের নাম লেখো।
উত্তর:দার্জিলিং জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বতশৃঙ্গের নাম সান্দাকফু (৩,৬৩০ মি), ফালুট (৩,৫৯৬ মি) সবরগ্রাম (৩,৫৪৩ মি) প্রভৃতি।
অথবা, পশ্চিমবঙ্গের তরাই অঞ্চল বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: তরাই অঞ্চল সমভূমির অন্তর্গত হলেও দক্ষিণের পলিগঠিত সমভূমির মতো একেবারে সমতল নয়। এখানে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয় । | সেজন্য এখানে গভীর বনভূমির সৃষ্টি হয়েছে, আর ভূমিভাগও স্যাঁতসেঁতে থাকে। তাই এই অঞ্চলের নাম তরাই।
৩.৪ মৃতপ্রায় বদ্বীপ কাকে বলে?
উত্তর: জলঙ্গি, মাথাভাঙ্গা, চূর্ণী নদী নতুন করে পলি ফেলে এখানে ভূমি গঠন করে না। এখানে বদ্বীপ গঠনের কাজ বহুকাল আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। এজন্য এই অঞ্চলে বহু পরিত্যক্ত বা আবদ্ধ নদী এবং খাল, বিল প্রভৃতি দেখতে পাওয়া যায় এবং এলাকাটির নাম তাই মৃতপ্রায় বা আবদ্ধ বদ্বীপ অঞ্চল। এছাড়া এই অঞ্চল বাগড়ী নামেও পরিচিত।
অথবা,
পশ্চিমবঙ্গের অভ্যন্তরীণ জলসম্পদ বলতে কী বোঝ?
উত্তর:অভ্যন্তরীণ জলসম্পদ হল-ওই ভূগর্ভস্থ এবং ভূপৃষ্ঠস্থ জলের মোট পরিমাণ, যার মধ্যে বেশিটাই হল ভূপৃষ্ঠস্থ জল। পশ্চিমবঙ্গের মোট আভ্যন্তরীণ জনসম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২৯ ঘন কিলোমিটার।
৩.৫ পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কোথায় ল্যাটেরাইট মাটি দেখা যায়?
উত্তর: পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, মুরশিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার মালভূমি অঞ্চলে এক ধরনের লাল কাঁকুরে মাটি দেখা যায়। এর নাম ল্যাটেরাইট মাটি।
অথবা, সুন্দরবন অঞ্চলের ম্যানগ্রোভ বনভূমির উদ্ভিদের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর: লোনা কাদা মাটিতে এসব উদ্ভিদ জন্মায় এবং এদের শিকড় অনেক বড়ো বড়ো হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস চালাবার জন্য এসব উদ্ভিদের শ্বাসমূল থাকে।
2.জোয়ারভাটা, সামুদ্রিক ঢেউ ও বাতাসের চাপে গাছগুলি যাতে উপড়ে না পড়ে যায় সেজন্য গাছের গোড়ায় (মাটির ওপরে) অনেক মূল থাকে। তাদের নাম ঠেসমূল।
৩.৬ পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের দুটি সমস্যার উল্লেখ করো।
উত্তর:i) অধিকাংশ কাঁচামাল মরসুমি হওয়ায় সারাবছর ধরে পণ্য উৎপাদন করা যায় না। ii)যথোপযুক্ত সংরক্ষণাগার সব জায়গায় নেই। iii)উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক প্রযুক্তি সর্বত্র সহজলভ্য নয়।
অথবা, অর্থকরী ফসল কাকে বলে? পশ্চিমবঙ্গের দুটি অর্থকরী ফসলের উদাহরণ দাও ।
উত্তর: উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের জন্য যখন কোনো ফসলের চাষ করা হ্য়, তাকে অর্থকরী ফসল বলে।
পশ্চিমবঙ্গের দুটি অর্থকরী ফসলের উদাহরণ পাট, চা।
ভালো নাম্বার পেতে আরও পড়ুন: